- Home
- World News
- Pakistan News
- ভারতের উপকূলের কাছেই চিনা রণতরীর সঙ্গে পাক সাবমেরিন, উদ্বেগ বাড়ালো উপগ্রহ চিত্র
ভারতের উপকূলের কাছেই চিনা রণতরীর সঙ্গে পাক সাবমেরিন, উদ্বেগ বাড়ালো উপগ্রহ চিত্র
চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের গদগদ বন্ধুত্বের কথা গোটা বিশ্ব জানে। এই বন্ধুত্বের ফলে ইসলামাবাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তাতেও পাকিস্তান খুব একটা ভাবিত নয় বলেই মনে হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, ভারতের উপকূলীয় সীমানা থেকে অনতিদূরেই পাকিস্তান ও চিন গোপন যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ।
| Published : Aug 14 2020, 04:03 PM IST / Updated: Aug 23 2020, 09:12 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ফোর্বস পত্রিকার এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে পাক নৌবাহিনী ও চিনা নৌবাহিনীর মধ্যে সামরিক জ্ঞান ও যুদ্ধাস্ত্র ভাগ করে নেওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
ওই উপগ্রহ চিত্রে বর্তমানে দেখা গিয়েছে, আটটি চিনের তৈরি টাইপ-০৩৯ বি ইউয়ান ক্লাস যুদ্ধজাহাজের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের অ্যাগোস্টা -৯০ বি টাইপ হাজম্যাট ক্লাস সাবমেরিন।
ফোর্বস পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, গত জানুয়ারি মাসে চিনা রণতরীগুলি পাকিস্তানি নৌবহরের সঙ্গে একটি যৌথ মহড়া করেছিল, যার নাম ছিল 'সি গার্ডিয়ান-২০২০'।
মজার বিষয় সেই সময় পাকিস্তান যুদ্ধজাহাজগুলি এবং ক্ষেপণাস্ত্রবাহক নৌকা, হেলিকপ্টার, সাবমেরিনবিরোধী বিমান ইত্যাদি অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের মহড়ায় কথা জানালেও, সাবমেরিনের কথা চেপে গিয়েছিল। সাবমেরিন সেই মহড়ার অংশ ছিল বলে জানানো হয়নি। চিন-ও সাবমেরিনের মহড়ার বিষয়ে কিছু বলেনি।
শ্যাডোব্রেক ইন্টেল নামে যে বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা উপগ্রহের চিত্রগুলি বিশ্লেষণ করেছে, তাদের দাবি পাকিস্তান ও চিনের এই লুকিয়ে যাওয়া রণতরী ও সাবমেরিন-কে দেখা গিয়েছে করাচির বাণিজ্যিক বন্দরের কাছে। বাণিজ্যিক বন্দরে রণতরীর মহড়া কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ভারতের গুজরাত উপকূলের খুব কাছে অবস্থিত এই পাক বন্দর।
ইসলামাবাদ ফরাসী প্রযুক্তিগত সহায়তায় তৈরি করেছিল এই অ্যাগোস্টা সাবমেরিন। মোট পাঁচটি এই ধরণের সাবমেরিন আছে তাদের হাতে। এর মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার বা এআইপি প্রযুক্তিতে চলে। এই সাবমেরিনগুলিকেই চিনা জাহাজের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে।
এই শ্রেণীর সাবমেরিনগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী। এআইপি ছাড়াও এএস -৯৯ এক্সোসেট অ্যান্টি শিপ মিসাইল এবং আরও অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে এই সাবে। পাকিস্তান এই সাবমেরিনে তাদের পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বাবর-৩ যুক্ত করেছে বলেও আশঙ্কা করা হয়।