- Home
- World News
- International News
- কাশ্মীর নিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল, চিন-পাকিস্তানের সুরেই গলা মেলালো ওয়াশিংটন
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল, চিন-পাকিস্তানের সুরেই গলা মেলালো ওয়াশিংটন
- FB
- TW
- Linkdin
বুধবার মার্কিন বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে একটি চিঠি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কমিটি খুশি হলেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। কারণ ভারত সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
মার্কিন বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি আরও বলেছে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে রাজি ওয়াশিংটন। তবে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতাই ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি। সেই প্রতিশ্রুতি ভারতকে পালন করতে হবে।
এই চিঠি আসার আগেই বুধবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকও রাষ্ট্রসংঘের সনদ, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহ এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ধারা ভারত মানেনি বলে অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, ভারত সরকার কাশ্মীরের স্থিতাবস্থার একতরফা এবং অবৈধ পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বার্থে ভারত-পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে এই মতপার্থক্যের সমাধান করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করবে, এমনটাই আশা করে চিন, বলে দাবি করা হয়।
আর পাকিস্তান বুধবার কালা দিবস পালন করেছে। তাদের সর্বশেষ রাজনৈতিক মানচিত্রে পুরো জম্মু ও কাশ্মীরকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গতবারের মতো এইবারও বন্ধু চিনকে দিয়ে কাশ্মীরের বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা চেষ্টা করেছিল। তবে ব্রিটেন, জার্মানি, ডমিনিকান রিপাবলিক, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইন্স, ফ্রান্স, এস্তোনিয়া এবং বেলজিয়াম-এর মতো বাকি সদস্য দেশগুলি সাফ জানিয়ে দেয় এটি দ্বিপক্ষীয় বিষয়। ভারত ও পাকিস্তানের নিজেদের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি টুইট করে জানান, পাকিস্তানের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। চিনা বিজেশমন্ত্রকের বিবৃতির পরও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তাকে পাত্তা না দিয়ে জানিয়েছিল, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোন অধিকার নেই চিনের। কিন্তু, আমেরিকার উদ্বেগ-কে এভাবে এককথায় উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
তবে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি আমেরিকা, চিনা আগ্রাসনের মোকোবিলায় ভারত-মার্কিন সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উপরই জোর দিয়েছে। মার্কিন ফরেন এফেরার্স কমিটি লিখেছে, ভারত-কে যখন চিনা আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেই সময় আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে একটা দৃঢ় অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে চিনা আগ্রাসন বেজিং-এর ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবৈধ এবং আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদী নীতিরই একটি অংশ বলেই দাবি করেছে আমেরিকা। সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক ঐক্য রক্ষায় ভারতের প্রচেষ্টাকে সবসময় আমেরিকা সমর্থন জানাবে বলেও আশ্বস্ত করেছে ওয়াশিংটন।