- Home
- World News
- International News
- এই মৃত্যু উপত্যকায় একাই ঘুরে বেড়ায় বড় বড় পাথর! দেখুন শিউরে ওঠা ছবি
এই মৃত্যু উপত্যকায় একাই ঘুরে বেড়ায় বড় বড় পাথর! দেখুন শিউরে ওঠা ছবি
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি!! সত্যিই তাই। পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় স্থান রয়েছে, যাদের গল্প আপনি হয়ত শুনেছেন। এর মধ্যে আমেরিকার ডেথ ভ্যালি একটা। হাজার চেষ্টা করেও বিজ্ঞানীরা এই উপত্যকার রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। বলা হয় এই রহস্যময় জায়গায় বিশালাকার পাথরগুলো শত শত ফুট নাকি নিজে নিজে চলে!
| Published : Sep 01 2022, 05:54 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কীভাবে এই পাথরগুলি নিজেরাই নড়াচড়া করে? এই জায়গাটি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, তার পরেও এর রহস্য উদঘাটন হয়নি। এসব কারণেই এই রহস্যময় স্থানটি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটক আসেন। এই জায়গাটি ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে নেভাডা রাজ্যের কাছে অবস্থিত। এই রহস্যময় স্থানটি ২২৫ কিলোমিটার ধরে বিস্তৃত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মৃত্যু উপত্যকা বা ডেথ ভ্যালির কথা বললে এখনও মানুষ সেদিকটা এড়িয়ে চলেন। এক সময় শুকনো উষ্ণ ধূধূ প্রান্তরের উপত্যকার ওপর দিয়ে কয়েকজন উল্টোদিকের সোনার খনি পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেননি। তার মধ্যেই তাঁদের ১ জনের মৃত্যু হয়।
কিছু লোক বলে যে অতিপ্রাকৃত শক্তির জোরে এই পাথরগুলিকে নড়াচড়া করে। তাই এই ধু ধু প্রান্তরের নাম ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যু উপত্যকা। এখানে কোনও জনবসতি নেই।
এরপর থেকেই এই পাণ্ডববর্জিত স্থানের নাম হয় মৃত্যু উপত্যকা। যেখানে কোনও মানুষ যান না, থাকে না কোনও পশু, পাখি। সেখানে পাথর টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। তবু পাথররা ঘুরে বেড়ায় এখানে ওখানে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই পাথরগুলোকে আজ পর্যন্ত কেউ হাঁটতে দেখেনি। এই পাথরগুলি যেভাবে সরতে থাকে, তাতে তারা তাদের পিছনে একটি দীর্ঘ লাইন ছেড়ে যায়। একই রেখার চিহ্নের পরেই এই পাথরগুলির গতিবিধি জানা যায়।
এই পাথরগুলো সরার কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। ১৯৭২ সালে, বিজ্ঞানীদের একটি দল এই রহস্য উন্মোচন করতে এখানে এসেছিল। তাঁরা প্রায় সাত বছর ধরে এই পাথরগুলিকে নিয়ে গবেষণা করে। বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে সেই সময় ৩১৭ কেজি ওজনের একটি পাথর নিয়ে রিসার্চ করেছিলেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার গবেষণার সময় ওই পাথরটি একটুও নড়েনি।
একই সময়ে, কয়েক বছর পর, বিজ্ঞানীরা আবার সেই পাথরটি সনাক্ত করতে সেখানে পৌঁছালে সেটিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখে অনেক বিজ্ঞানীই অবাক হয়েছেন। আরও অনেক বিজ্ঞানীর মতে, প্রবল বাতাসের কারণে এই পাথরগুলো নড়াচড়া করে। তবে এই পাথরগুলো পিছলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা একমত নন।
এর নানা কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে। কারও মতে হাওয়ার ধাক্কায় এমনটা হয়। পাথর মাটিতে ঘষ্টাতে থাকে। কিন্তু ওই বিশাল ওজনের পাথরকে ঝড়ও নড়াতে পারবে না। এটা পরিস্কার। তাহলে কীভাবে তা সম্ভব!
স্পেনের কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, এখানকার মাটিতে উপস্থিত জীবাণুর কারণেই এমনটা হতে পারে। এই জীবাণু মাটিকে পিছল করে তোলে। এ কারণে পাথরগুলো মাটিতে পিছলে যায়।
এটি লক্ষণীয় যে এই পাথরগুলির রহস্যজনকভাবে পিছলে যাওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। কেন এই পাথর তাদের জায়গা থেকে সরে? এটা আজও রহস্যের বিষয়।