- Home
- World News
- International News
- ঘুষ দিয়ে নামি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ট্রাম্প , মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন খবর ফাঁস করলেন ভাইঝি
ঘুষ দিয়ে নামি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ট্রাম্প , মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন খবর ফাঁস করলেন ভাইঝি
লকডাউনের কারণে মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে কোর্সগুলি সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে পড়ানো হচ্ছে, সেগুলিতে পাঠরত বিদেশি পড়ুয়াদের সাময়িকভাবে ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসনের নতুন এই নির্দেশিকার দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিদেশি পড়ুয়াদের যখন দেশ থেকে বার করতে চাইছেন ট্রাম্প তখন কার শিক্ষাজীবনের এক গোপন কথা ফাঁস হয়ে গেল। আর সেই কথা জানালেন খোদ তাঁর ভাইঝি।
| Published : Jul 09 2020, 05:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইঝি মেরি ট্রাম্প তার প্রকাশিত বইয়ে দাবি করেছেন, ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন। বইটি নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই প্রকাশিত হচ্ছে। সেই হিসেবে আগামী সপ্তাহে বইটি প্রকাশ করা হবে।
তখন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাইস্কুলের ছাত্র। প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘স্যাট’-এ ভাল ভাবে উতরে গিয়ে আমেরিকার নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য এক জন প্রভাবশালীকে ঘুষ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এমনটাই অভিযোগ করেছেন ট্রাম্পের ভাইঝি মেরি ট্রাম্প। তাঁর সদ্য প্রকাশিত বই ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ: হাউ মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান’।
ইতিমধ্যে বইটির কপি বিভিন্ন মিডিয়ার হাতে এসেছে। বইতে মেরি ট্রাম্প পারিবারিক জীবনের অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই প্রথম ট্রাম্প পরিবারের কেউ এভাবে এসব কথা প্রকাশ করছেন।
বইয়ের ম্যানুস্ক্রিপ্টের একটি অংশ তুলে ধরেছে নামজাদা এক মার্কিন দৈনিক। সেখানে ট্রাম্পের ভাইঝি মেরি ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এক প্রভাবশালীকে ঘুষ দিয়েই ডোনাল্ড পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন বিজনেস স্কুলে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।’’এই স্কুলকে ট্রাম্প বিশ্বের সবচেয়ে ভালো স্কুল বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
মেরি ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় ভাই ফ্রেড ট্রাম্প জুনিয়র অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন। ৪২ বছর বয়সেই ১৯৮১ সালে তিনি মারা যান। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। কিন্তু তাকে হাসপাতালে একা পাঠানো হয়েছিল। ঐ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগেই পারিবারিক ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন ফ্রেড ট্রাম্প জুনিয়র।
ট্রাম্প একবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, তার ভাই সরে যাওয়ায় তার জন্য ভালো হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে ডিগ্রি রয়েছে মেরি ট্রাম্পের।
এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র অ্যাডভাইসর কেলিয়ান কনওয়ে মঙ্গলবার বিষয়টিকে ‘পারিবারিক ব্যাপার’ বলে উড়িয়ে দেন।
মেরির বইয়ের বক্তব্যকে সরাসরি ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেলেই ম্যাকেনানি। তিনি বলেন, ‘‘এই বইটা একেবারেই মিথ্যায় ভরা।’’