জোর করে নয়, ভালবেসেই মোদীর সভায় মেদিনীপুরবাসী, দেখুন কাঁথির ক্যানভাস
বুধবার কাঁথির সভায় বাজিমাত মোদীর।এদিকে দোরগড়ায় একুশের নির্বাচন। মোদী যেখানেই সভা করছেন, প্রায়শই সেখানেই অনুসরণ করে হুইলচেয়ারে পাড়ি দিচ্ছেন মমতা। যদিও একাধিক তোপ দেগেও কিছু করা যাচ্ছে না, অটুট রয়েছেন তাঁর দৃঢ় বক্তব্য়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন যদিও মোদী আসার অনেক আগে থেকেই কাঁথির মাঠ মানুষের ভীড়ে টইটুম্বুর। শুধুই যে বিজেপি নেতা- পার্টি কর্মী রয়েছেন তা কিন্তু নয়, জনসভায় দেখা গেল অসংখ্য সমর্থকের মুখও, যারা শুধু বিজেপিকে সমর্থন করেই থেমে থাকেননি, দলীয় উত্তরীয় ছাড়াও মেদিনীপুরে তৈরি দেশীয় কাপড়ে, চোখে-মুখে, সেখানে শুধু ভালবাসার একটাই রঙ 'গেরুয়া।'

বুধবার কাঁথির সভায় বাজিমাত মোদীর।এদিকে দোরগড়ায় একুশের নির্বাচন। মোদী যেখানেই সভা করছেন, প্রায়শই সেখানেই অনুসরণ করে হুইলচেয়ারে পাড়ি দিচ্ছেন মমতা। যদিও একাধিক তোপ দেগেও কিছু করা যাচ্ছে না, অটুট রয়েছেন তাঁর দৃঢ় বক্তব্য়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কাঁথির বুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উচ্ছসিত মানুষের ভীড়। মোদী বলেন , 'রবীন্দ্রনাথের পুণ্যভুমীতে কেউ বহিরাগত নয়, সকলেই ভারতবাসী, বহিরাগত নয়। কাটমানি তোলাবাজি বন্ধ হবে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে। আম্ফানে পাঠানো টাকা সব কাটমানির দ্বারা পকেটে ঢুকেছে, দিদি বলছে খেলা হবে, আমরা বলছি উন্নয়ন হবে। '
মোদী বলেছেন, 'দীঘার সমুদ্রের মাছ চাষিদের তোলাবাজির হাত থেকে মুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। দিদি নন্দীগ্রামে এসে নন্দীগ্রামের মানুষকে বদনাম করছে। এই নন্দীগ্রামের লোকই দিদিকে হারাবে। আমাদের স্বপ্ন ,আমাদের সংকল্প সোনার বাংলা। এর জন্যই বার বার বিজেপি সরকার। '
'এই ভূমি বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথের, মাতঙ্গিনী হাজরার, সুভাষচন্দ্রের, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর, আমাদের বাংলা সহ ভারত ভূমি । আমরা সবাই ভারতভূমির সন্তান, এই ভূমির কেউ বহিরাগত নয়। মজা করছে, অপমান করছে ভারতভূমিকে, বহিরাগত কেউ মনে করে না। বিজেপির রাজ্য সরকার , মুখ্যমন্ত্রী এই মাটি থেকে হবে' বলে স্পষ্ট বার্তা দেন মোদী। আর এরপরেই জনজোয়ারে আনন্দের ঢেউ খেলে।
'আপনারা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে দশবছর কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, যদি কাজের হিসাব চাওয়া হয়, তখন রেগে গালাগালি করছে। দিদি হিংসা বোম বন্দুকের ধামাকা দেখাচ্ছে । বাংলাকে বোম বন্দুক ও হিংসা থেকে মুক্তি দিতে হবে, বাংলার শান্তি দরকার ,আর এই কাজ একমাত্র বিজেপি করতে পারবে।' এমনকি কটাক্ষের সুরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ডাকেন মোদী। 'দিদি ও দিদি' বলে ডাকতেই আর তাতেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠে সভায় আগত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
'নারী শক্তিকে এগিয়ে চলাই বিজেপির লক্ষ্য'-মেদিনীপুরের মাটিতে বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন বক্তব্য শুরু মোদীর। এদিন তিনি শুরুতেই বিপ্লবী-শহীদ বীরদের সম্মান জানালেন। মেদিনীপুরের মাটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উল্লেখ করলেন মাতঙ্গিনী হাজরার কথাও।
'বাংলার কৃষকদের কিষাণ সম্মান নিধি থেকে বঞ্চিত করেছেন দিদি' কাঁথির সভায় মমতাকে কৃষি সহ একাধিক ইস্যুতে নিশানা করলেন মোদী। এদিন সরাসরি মুখ্যন্ত্রীর কাছে গত ১০ বছরে কী কী কাজ হয়েছে বলতে হবে বলে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মমতাকে আক্রমণ করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, 'কৃষি আইনের সুফল নিয়ে নীরব বিরোধীরা, বাংলার কৃষকরা কিষাণ সম্মান নিধি থেকে বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় সরকারের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা বাংলার কৃষকদের কাছে পৌছতে দেয়নি দিদি।কৃষকদের এই প্রকল্প নিয়েও রাজনীতি বাংলায়। কৃষি ঋণ মুকুবের সুবিধা ছোট কৃষকরা পায় না।'
মোদী বক্তব্য শেষ করার আগে আরও বলেছেন, ' তৃণমূলের খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন ও বিকাশ হবে বাংলায়, এটা বিজেপির সংকল্প। বাংলা চায় শিল্প, শিক্ষা, নারী সুরক্ষা, বাংলা চায় বিজেপি সরকার। '