- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- এক দিনমজুরের বউ-এর হয়েই প্রচার শুরু করলেন 'গোখরো' মিঠুন, কে এই চন্দনা বাউরি, দেখুন
এক দিনমজুরের বউ-এর হয়েই প্রচার শুরু করলেন 'গোখরো' মিঠুন, কে এই চন্দনা বাউরি, দেখুন
শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম নয়, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার শালতোড়া থেকে বিজেপির হয়ে তাঁর প্রচার অভিযান শুরু করলেন মিঠুন 'গোখরো' চক্রবর্তী। ভোট চাইলেন, বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরির হয়ে। কিন্তু, বিজেপির তাবড় প্রার্থীদের ছেড়ে হঠাৎ চন্দনা বাউরির হয়েই প্রচার শুরু করলেন কেন তিনি? আসলে এই ৩০ বছর বয়সী দিনমজুরের স্ত্রী-কে দল প্রার্থী করায় গোটা রাজ্যেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা দারুণ খুশি। আসুন চিনে নেওয়া যাক চন্দনা বাউরিকে।
- FB
- TW
- Linkdin
চন্দনা বাউরির স্বামীর নাম শ্রবণ। তিনি রোজ হিসাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ২০১০ সালে তাঁদের বিবাহ হয়েছিল। সংসার চালাতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মাঝে কাজে বের হতে হতো তাঁকে। ২০১৪ সালে শালতোড়ায় বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে দলের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। পরে ২০১৯ সালে, চন্দনা বাউড়ি বিজেপির বাঁকুড়া জেলা কমিটিতে জায়গা করে নেন। আর, এইবার একেবারে বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে তাঁকে নামিয়ে দিয়েছে দল।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে, তিন সন্তানের মা চন্দনা বাউরি। প্রচারের কাজে বাইরে বের হতে হচ্ছে। স্বামীও থাকছেন সঙ্গে। তাঁর মা আর শাশুড়িকে তিনি বাড়িতে এনে রেখেছেন, তাঁরাই দেখাশোনা করছেন বাচ্চাদের।
এই সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা বিজেপি নেত্রী জানিয়েছেন, দল যে তাঁকে টিকিট দিচ্ছে তা তিনি আগে জানতেন না। কোনও ধারণাই ছিল না। প্রার্থী-তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল।
তারপর থেকে প্রতিদিন চলেছে প্রচার। আর শেষ বেলায় তাঁর হয়ে প্রচার করতে এসেছেন, 'জাত গোখরো'। এই প্রসঙ্গে চন্দনা বলেছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকা তাঁর কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু করলেন, এটা অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।
তাঁর আরও দাবি, বিজেপি আসলে ধনী-দরীদ্রের মধ্যে ভেদ করে না। তাঁর মতো একজন গরীব ঘরের মেয়েকে প্রার্থী করে যে সম্মান দিয়েছে দল, তার জন্য নেতৃত্বের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।
তবে তাঁর বাসভবন ঘিরে বিতর্কও রয়েছে। বিজেপি প্রার্থীই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি, শৌচালয় পাননি। ফলে ভাঙাচোরা ঘরেই স্বামী, শাশুড়ি, সন্তানদের নিয়ে থাকেন তিনি। এই নিয়ে মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তবে এর জন্য শাসকদলের নেতাদের দুর্নীতিকেই দায়ী করেছেন চন্দনা।
প্রচার পর্ব শেষ। রাত পেরোলেই ভোটগ্রহণ। এখন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন চন্দনা। তিনি জিতলে বিধানসভায় অন্তত একজন প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত। গত লোকসভার ফলাফল অনুযায়ী শালতোড়ায় এগিয়ে ছিল বিজেপি।