লকডাউনের মাঝেই সচল শহর, রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করলেন পুলিশকর্মীরা
করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে আমজনতার। এ রাজ্যে বাস চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে মন্দির-মসজিদ-গির্জায় খোলার ক্ষেত্রেও আর কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। তাহলে আর অপেক্ষা কীসের! রবিবার স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানুষকে ঘরমুখী করা নয়, বরং সচল শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেল পুলিশকর্মীদেরও। এমনই ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কোনও জেলা বা এলাকাই আর গ্রিনজোন নয়। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্রই।
সংক্রমণ রুখতে যেমন লকডাউন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া যেমন উপায় নেই, তেমনি এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও তো বাড়বে বই কমবে না!
বাংলাকে 'আনলক' করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাস পরিষেবা চালু করাই শুধু নয়, যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেকটাই ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে ধর্মীয় স্থান ও ৮ জুন সরকারি ও বেসরকারি অফিসও খুলে যাবে।
সে যাই হোক, রবিবার পর্যন্ত কিন্তু খাতায়-কলমে লকডাউন বহাল ছিল। কিন্তু ঘটনা হল, রায়গঞ্জে শহরের রাস্তায় মানুষের ভিড় দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না!
সাইকেল, রিক্সা, টোটো-র দাপটে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার কার্যত অসম্ভব ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষপর্যন্ত পুলিশকর্মীরা সক্রিয় হলেন বটে। তবে লকডাউন কার্যকর করতে নয়, বরং 'ব্যস্ত রাস্তা'য় যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেল তাঁদের।