সংক্ষিপ্ত
আত্মহত্যা করার জন্যই ওই কিশোর লাইনে ঝাঁপ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর নিজের জীবন বাজি রেখে তাকে প্রাণে বাঁচান ওই কনস্টেবল। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
অনেক্ষণ ধরেই এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। প্ল্যাটফর্মের একেবারে ধারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। কিছুটা সন্দেহ হওয়ায় তাকে একবার সতর্ক করেছিলেন কনস্টেবল হৃষীক্ষ মানে। তারপরও কথা শোনেনি সে। এরপর ট্রেন আসছে দেখে আচমকাই প্ল্যাটফর্ম থেকে ঝাঁপ দেয় লাইনের উপর। তা দেখে তড়িঘড়ি প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে ঝাঁপ দেন হৃষীক্ষও। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লাইন থেকে কিশোরকে সরিয়ে দেন তিনি। যার জেরে রক্ষা পায় ওই কিশোরের প্রাণ। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বিত্তলওয়াড়ি স্টেশনে।
স্টেশনের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে এই ঘটনার ছবি। ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটে। দেখা গিয়েছে, বিত্তলওয়াড়ি স্টেশনে তখনও তেমন একটা ভিড় নেই। তবে বেশ কিচু মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। কেউ আবার আত্মীয়ের সঙ্গে গল্পে মগ্ন। আর তার মধ্যেই এক কিশোর প্ল্যাটফর্মের ঠিক ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার পরনে নীল জিন্স আর হলুদ টি শার্ট। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। এদিকে প্ল্যাটফর্মে তখন টহল দিচ্ছিলেন কনস্টেবল হৃষীক্ষ মানে। কী সন্দেহ হওয়ায় ওই কিশোরকে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ঢুকে দাঁড়াতে বলেন।
তারপর স্টেশনের অফিসে গিয়ে ঢুকতে যাবেন ঠিক তখনই ঘটে ঘটনা। ওই লাইনে ট্রেন আসছে দেখে সোজা প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে ঝাঁপ দেয় কিশোর। তা দেখে এক মুহূর্তও আর অপেক্ষা করেননি হৃষীক্ষ। প্রাণে ভয় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনিও লাইনের মধ্যে ঝাঁপ দেন। তারপর ধাক্কা মেরে ওই কিশোরকে লাইন থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। আর এভাবেই নিজের জীবন বাজি রেখে ওই কিশোরকে প্রাণ বাঁচান তিনি।
আরও পড়ুন- 'অসৎ বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য চালালে কী হয়', রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে টুইট রণবীর শোরের
আত্মহত্যা করার জন্যই ওই কিশোর লাইনে ঝাঁপ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর নিজের জীবন বাজি রেখে তাকে প্রাণে বাঁচান ওই কনস্টেবল। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। যেভাবে হৃষীক্ষ ওই কিশোরের জীবন বাঁচিয়েছেন তাতে তাঁর প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। এদিকে এই ঘটনার পরই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে কল্যাণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকেও। পাশাপাশি পুলিশের তরফেও বোঝানো হয় ওই কিশোরকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি সংবাদ সংস্থাকে রেলের এক আধিকারিক বলেন, "হৃষীক্ষ নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করেই ওই কিশোরকে বাঁচিয়েছেন। কিশোরকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের প্রাণটাই চলে যেত। কারণ ওই লাইনে তখন ঝড়ের গতিতে ঢুকছিল মাদুরাই এক্সপ্রেস।"