সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় নোটের পাশের সাদা অংশে তির্যক রেখাগুলি লক্ষ্য করেছেন। বিশেষ বিষয় হল নোটের দাম অনুযায়ী তাদের সংখ্যার তারতম্য হয়। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এই লাইনগুলো নোটে রাখা হয়েছে? এই লাইনগুলির সঙ্গে নোটের সম্পর্ক কি!
শের শাহ শূরী তার পাঁচ বছরের শাসনকালে (অর্থাৎ ১৫৪০-১৫৪৫ পর্যন্ত) ১৭৮ রতি ওজনের রুপোর মুদ্রা রুপিয়া নামে প্রচলন করেছিলেন। মোগল তথা মারাঠাদের রাজত্বকালের সঙ্গে ইংরেজশাসিত ভারতে রুপোর মুদ্রা প্রচলিত ছিল। কাগজের ব্যাঙ্কনোটের সর্বপ্রথম প্রচলনকারীর মধ্যে ছিল ব্যাঙ্ক অফ হিন্দুস্তান, ওয়ারেন হেষ্টিংসের প্রতিষ্ঠা করা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব বেঙ্গল অ্যান্ড বিহার এবং বেঙ্গল ব্যাঙ্ক। পরবর্তী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে টাকার রূপ নিয়েছে।
এখনকার নোটে কোনও না কোনও সময়ে, আপনি অবশ্যই ভারতীয় নোটের পাশের সাদা অংশে তির্যক রেখাগুলি লক্ষ্য করেছেন। বিশেষ বিষয় হল নোটের দাম অনুযায়ী তাদের সংখ্যার তারতম্য হয়। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এই লাইনগুলো নোটে রাখা হয়েছে? এই লাইনগুলির সঙ্গে নোটের সম্পর্ক কি! যদি এই বিষয় জানা না থাকে, তবে জেনে রাখুন। এই লাইনগুলি নোট সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এই কারনে ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোটে তৈরি এই লাইনগুলোর অর্থ জেনে নেওয়া যাক-
নোটে থাকা এই লাইনগুলোকে ব্লিড মার্ক বলা হয়। এই চিহ্নগুলি বিশেষভাবে দৃষ্টিহীন শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম মানুষদের জন্য তৈরি। নোটে এই লাইনগুলি স্পর্শ করার পরে, তারা বলতে পারবে এটা কত টাকার নোট তাদের হাতে রয়েছে। ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটে বিভিন্ন সংখ্যার লাইন দেওয়া হয়েছে, এটি তাদের মূল্য বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
যেমন ১০০ টাকার নোটে দুই পাশে চারটি লাইন। ২০০ নোটের উভয় পাশে চারটি লাইন রয়েছে, যার সঙ্গে দুটি শূন্য সংযুক্ত রয়েছে। একই সময়ে, ৫০০ নোটে ৫ টি লাইন এবং ২০০০ টাকার নোটের উভয় পাশে ৭ টা লাইন রয়েছে। এই লাইনগুলির সাহায্যেই দৃষ্টিহীন লোকেরা এর মূল্য বোঝে।
আবার ২০০০ টাকার নোটের পিছনের দিকে মঙ্গলযানের ছবি ছাপা হয়েছে। এটি ভারতের মঙ্গল মিশনের অংশ। ৫০০ টাকার নোটে ছাপা হয়েছে লাল কেল্লার ছবি, একই সঙ্গে ২০০ টাকার নোটের পিছনে ছাপানো সাঁচি স্তূপের ছবি, যা মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায় অবস্থিত। যা মহান সম্রাট অশোকের আমলে নির্মিত হয়েছিল। এটি ভারতের প্রাচীনতম স্থাপত্যগুলির মধ্যে একটি। একই ভাবে নতুন ১০০ টাকার নোটে 'রানি কি ভাভ'-এর ছবি ছাপা হয়েছে। এটি গুজরাটের পাটন জেলায় অবস্থিত একটি সোপান। এটি সোলাঙ্কি রাজবংশের রানী উদয়মতি ও তাঁর স্বামী প্রথম ভীমদেবের স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন। এটি ২০১৪ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।