সংক্ষিপ্ত
চার বছর মত মাথায় উঠতে চলতে মুকুট। জিআই তকমা পেতে চলেছে কৃষ্ণনগরের সরভাজা আর সরপুরুয়া।
করোনা-কালে বঙ্গবাসীর জন্য আরও একটি 'মিষ্টি' খবর আসতে চলছে খুব দ্রুত। রসগোল্লার পর এবার বাংলার আরও দুটি মিষ্টি সরভাজা আর সরপুরিয়া জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই (GI)তকমা পেতে চলছে। চার বছর আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের তৈরি এই দুটি মিষ্টির জন্য জিআই ট্যাগের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। চার বছর পরে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হতে পারে বলে রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
২০১৭ সালে রসগোল্লার জিআই ট্যাগের দাবিতে ওড়িশার সঙ্গে রীতিমত ঠান্ডাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল বাংলা। বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত 'মিষ্টি হাসি' হেসেছিল বাংলাই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওড়িশা সরকার রসগোল্লা নিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর জিআই রেজিস্ট্রি বাতিলের আবেদনটি খারিজ হয়েযায়। রসগোল্লা বাংলার-এই সত্য প্রতিষ্ঠা পায়। তবে এখনও পর্যন্ত সরভাজা বা সরপুরিয়া নিয়ে বাংলার কোনও প্রতিপক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই মনে করা হচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরভাজা আর সরপুরিয়ার মাথায় মুকুট উঠবে।
কোভিডের সংক্রমণ রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নিন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে
INS Vikrant-র পুনর্জন্ম, যুদ্ধ বিমানবাহী রণতরীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা শুরু
বছর চারেক আগেই সরভাজা আর সরপুরিয়ার জন্য জন্য জিআই তকমার দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সংগঠন। কিন্তু সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনের নম্বর না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীকালে করোনা সংক্রমণের জন্য কিছুটা ধীর গতিতে কাজ হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের উল্লেখ করে কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এই দুটি মিষ্টি তাড়াতাড়ি এই দুটি মিষ্টি জিআই তকমা পেতে চলেছে। কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা প্রাচীন পুঁথি আর বইয়ের তথ্য দিয়েই দাবি করেছেন সরভাজা আর সরপুরিয়ায় জন্ম কৃষ্ণনগরে। স্থানীয় রীতিনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এই দুটি মিষ্টি। কলকাতা বা বাংলার অন্যান্য জেলাতেও সরভাজা আর সরপুরিয়া পাওয়া যায়। তবে তার স্বাদ কৃষ্ণনগরের তৈরি মিষ্টির মত নয় বলেও দাবি করেন মিষ্টি প্রেমীরা।