ভারতের তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত। শুরু হয়ে গেল সমুদ্র ট্রায়াল। স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।  

আত্মনির্ভর ভারতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। বুধবার দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী 'আইএনএস বিক্রান্ত' সমুদ্র পরীক্ষার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞজের কথায় এটি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি সবথেকে জটিল রণতরী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে এই দিনটি ভারতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক দিন। কারণ ২০৭১ সারে যদ্ধে ব্যবহৃত যুদ্ধ জাহাজের পুনর্জন্ম হয়েছে ৫০ বছর পরে। এই ঘটনাকে স্বাস্থ্য জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, বিক্রান্ত ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় সাফল্য। আগামী দিনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। 

Scroll to load tweet…


দেশের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আত্মনির্ভর ভারত বা মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যেগের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার নির্মাণের সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা সম্মন্ন এই যুদ্ধ জাহাজ পুরোপুরি দেশীয় পদ্ধতিতে আর দেশেই তৈরি হয়েছে। এই যুদ্ধ জাহাজ ডিজাইনও করেছেন দেশীয় প্রযুক্তিবিদরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই এই কঠিন কাজ সম্পন্ন করার জন্য সহযোগি সংস্থাগুলিকেও ধন্যবাদ জানান হয়েছে।

Scroll to load tweet…

ভারতীয় নৌবাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ জয়ে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল বিক্রিন্তের পূর্বসূরী। সেই যুদ্ধের ৫০ বছর পর আবারও একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে বিক্রান্ত। তাই ভারতের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কোচি শিফইয়ার্ডে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। এটি থেকে মিগসহ একাধিক যুদ্ধ বিমান ওঠা নামা করতে পরে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

Scroll to load tweet…

লাদাখ ইস্যুতে রণে ভঙ্গ দিচ্ছে চিন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে যৌথ বিবৃতির কথা জানাল ভারত

'তৃণমূলের ভাঁওতাবাজির বাংলা মডেল', পরপর ৮টি টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিল বিজেপি

'আরও বড় খেলা হবে', নেতাজি ইন্ডোর থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়

আইএনএস বিক্রান্ত প্রথম ভারতীয় রণতরী। এটি ১৯৬১ সালে নেওয়া হয়েছিল ব্রিটেন থেকে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে সেই পুরনো বিক্রান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।শক্রপক্ষের নজর এড়িয়ে সেই সময় বিক্রান্তেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৬টি যুদ্ধ বিমানকে। বিক্রান্তের তৎপরতায় সেই সময় চট্টগ্রাম বন্দর ধ্বংস করা সহজ হয়েছিল।

YouTube video player