সংক্ষিপ্ত

এই দিনটি নবম শিখ গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে চিহ্নিত। ১৬৭৫ সালে, গুরু তেগ বাহাদুরকে এই দিনে দিল্লিতে তৎকালীন মুঘল সম্রাট, আওরঙ্গজেবের নির্দেশে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।  জেনে নিন গুরু তেগ বাহাদুর সম্পর্কে অজানা ১০ তথ্য

গুরু তেগ বাহাদুর প্রয়াণ দিবস, যা শহীদ দিবস নামেও পরিচিত, প্রতি বছর ২৪ নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। সারা দেশের মানুষ এই দিনে দশম শিখ গুরুর মধ্যে নবম গুরু-কে শ্রদ্ধা জানায়। যিঁনি ধর্মীয় স্বাধীনতার উগ্র সমর্থক ছিলেন। এই দিনটি নবম শিখ গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে চিহ্নিত। ১৬৭৫ সালে, গুরু তেগ বাহাদুরকে এই দিনে দিল্লিতে তৎকালীন মুঘল সম্রাট, আওরঙ্গজেবের নির্দেশে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি সেই সময়ে ধর্মীয় নিপীড়নের নীতির বিরোধিতা করেছিলেন।
এই তিথি উদ্দেশ্যে বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গুরু তেগ বাহাদুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দিনটি "অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং ত্যাগের প্রতীক" বলে অভিহিত করেছেন।


গুরু তেগ বাহাদুর ও তাঁর অজানা তথ্য-
১) তিনি ছিলেন নবম শিখ গুরু। গুরু হিসাবে তাঁর সময়কাল ১৬৬৫ সাল থেকে ১৬৭৫ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ছিল।
২) আওরঙ্গজেবের শাসনকালে, গুরু তেগ বাহাদুর তার আওয়াজ তুলেছিলেন এবং জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিতকরণের প্রতিরোধ করেছিলেন। ১৬৭৫ সালে চাঁদনি চক, নয়াদিল্লিতে মুঘল সম্রাটের নির্দেশে তাকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
৩) শিখ গুরুকে যেখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং দাহ করা হয়েছিল সেগুলিকে পবিত্র স্থান  গুরুদুয়ারা সিস গঞ্জ সাহেব এবং দিল্লির গুরুদ্বার রাকাব গঞ্জ সাহেব নামে পরিচিত।
৪) তিনি দশম শিখগুরু গুরু গোবিন্দ সিং-এর পিতা ছিলেন।
৫) পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহেবে গুরু তেগ বাহাদুরের ১১৫ টি স্তোত্র রয়েছে।
৬) শিখ গুরুকে মানুষের প্রতি তার নিঃস্বার্থ সেবার জন্য স্মরণ করা হয়। তিনি স্থানীয় জনগণের জন্য কমিউনিটি কিচেন (ল্যাঙ্গর) স্থাপন করেছিলেন।
৭) পবিত্র শহর আনন্দপুর সাহেব গুরু তেগ বাহাদুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
৮) তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, সর্বভারতীয় হকি টুর্নামেন্টগুলির একটির নামকরণ করা হয়েছে "অল ইন্ডিয়া গুরু তেগ বাহাদুর গোল্ড কাপ"।
৯) গুরু তেগ বাহাদুর গুরু নানক এবং অন্যান্য শিখ গুরুদের পবিত্রতার বার্তা এবং আলোকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি ছিলেন একজন যোদ্ধা, একজন চিন্তাবিদ এবং একজন কবি।
১০) শিখ ধর্মের বার্তা প্রচারের জন্য তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি অনেক প্রচার কেন্দ্রও স্থাপন করেছিলেন যেখানে লোকেরা প্রার্থনা করতে পারে এবং তাদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতে পারে। তার মৃত্যুবার্ষিকী পাঞ্জাবে একটি ছুটির দিন হিসেবে চিহ্নিত।

আরও পড়ুন- হিন্দু কা গুরু, মুসলমান কা পীর, জেনে নিন এই মহামানবের সম্বন্ধে অজানা গল্প

আরও পড়ুন- অশোক ও কিশোর কুমারের প্রপিতামহ ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সহপাঠী

আরও পড়ুন- স্বাধীনতার দাবিতে ২০ বছরে ফাঁসি বরণ, কানাইলালের চিতাভষ্ম কিনতে মানুষ দর হেকেছিল