সংক্ষিপ্ত

  • জামাইদের পাতে পড়তে চলেছে নয়া প্রজাতির আম
  • মুর্শিদাবাদে গবেষকের আবিষ্কার এই নতুন ধরণের আম
  • কুশল ঘোষ হাজির করেছেন ‘ল্যাম্বো’ আম
  • খুশি জেলার শ্বশুর থেকে জামাই সকলে

জামাইষষ্ঠীর সকালেই শ্বশুরদের জন্য সুখবর। সুখবর জামাইদের জন্যও বটে। এবছর জামাইদের পাতে পড়তে চলেছে নয়া প্রজাতির আম। মুর্শিদাবাদে গবেষকের হাত ধরে আবিষ্কার হয়েছে এই নতুন ধরণের আমের। নানান ধরনের বিচিত্র আমের খোঁজ নিয়ে হাজির হলেন জেলার আম গবেষক বলে পরিচিত কুশল ঘোষ। তার হরেক আম আবিষ্কারের মধ্যে এবছর তিনি তার নিজস্ব গবেষণাগারের বাগানে হাজির করেছেন ‘ল্যাম্বো’ আম।

Weather Update : আগামী তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলবে জেলায়, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে

অনেকেই হয়তো নামটা শুনে ভাবছেন তো, সেটা আবার কী ধরনের আম! ল্যাংড়া আর বোম্বাই আম মিলিয়ে তৈরি এই ল্যাম্বো। যদিও শুধু ল্যাম্বোই নয়, কুশল উদ্ভাবন করেছেন ‘শ্যামভোগ’, ‘বেলচম্পা’ প্রভৃতি নতুন নতুন আমও।  বেলচম্পা তৈরি হয়েছে মোলামজাম ও রানিপসন্দ মিলিয়ে। শ্যামভোগ তৈরি হয়েছে সারেঙ্গা ও মোলামজামের শঙ্করায়ণ ঘটিয়ে।

মুর্শিদাবাদ শহরের বাগডহর মোড়ের কাছেই গবেষক কুশল ঘোষের আমবাগান। সেখানে বসেই নিজের গবেষণা চালান কুশলবাবু। শুধু নতুন নতুন আম উদ্ভাবন করেই ক্ষান্ত নন তিনি। কুশলবাবুর বাগানে বেশ কয়েকটি আমগাছ রয়েছে যেগুলির কোনওটিতে ১৫০ প্রজাতির, কোনওটিতে ১২৫ প্রজাতির আম হয়। কুশলবাবু বলেন, নতুন কিছু করার ইচ্ছা সবসময় ছিল। ২০০০ সাল  নাগাদ এক উদ্যানপালন আধিকারিকের থেকে গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে একই গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আম ফলানোর হাতেকলমে শিক্ষা লাভ করি। তারপরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা প্রজাতির আমের শাখা সংগ্রহ করে নিজের বাগানে গ্রাফটিং শুরু করি। 

YouTube video player

রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, জামাইষষ্ঠীতে গোটা একদিন ছুটির ঘোষণা মমতার

তিনি আরও জানান, ২০০২ সাল থেকে একই গাছে বিভিন্ন প্রজাতির কলম বসানোর কাজ শুরু করি। দু’ বছর পরে থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়। এরপরেই উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে। একটি গাছে কোহিতুর, বোম্বাই, হিমসাগর, ল্যাংড়া, সারেঙ্গা, বিমলি, বিরা, রানিপসন্দ, আনারস, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস প্রভৃতি সর্বাধিক ১৫০ অধিক প্রজাতির আমও ফলেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এখন প্রজাতির সংখ্যা কমেছে। 

নবাবদের খাসতালুক মুর্শিদাবাদের আমের খ্যাতি জগদ্বিখ্যাত। বিশ্বের নানা জায়গা থেকে আম এনে নিজেদের বাগানে ফলিয়েছিলেন নবাবরা। সেই বাগানে দু’শোরও বেশি প্রজাতির আমের গাছ ছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু সেই হরেক প্রজাতির আর দেখা মেলে না। অনেক প্রজাতির আম জেলার মাটি থেকে হারিয়ে গিয়েছে। কিছু আমের অস্তিত্ব সঙ্কটে। সেইসব আমের সংরক্ষণও করছেন কুশল ঘোষ। 

বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ

কুশলবাবু বললেন, আরও বেশ কিছু নতুন প্রজাতির আম তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আরও একটি উন্নত শঙ্কর প্রজাতির আমের ফলন হবে"। আর এই দিন কুশল বাবুর আমের বাগানে এসে জড়ো হন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ। এদিন কুশল বাবুর গবেষণাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিকাশ দাস বলেন,"আমি বহুদূর থেকে এসেছি, এই গবেষণাগারের আমের খ্যাতি শুনে একটি বিশেষ প্রজাতির আম আজকে নিয়েই যাব"।