বরফের ৩০০০ ফিট নিচে আবিষ্কার হল প্রাণের অস্তিত্ব কয়েক লক্ষ বছরেও এই ঘটনা ঘটেনি এখানে কোনও জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বরফের এত ফুট গভীরে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব

অ্যান্টার্কটিকার আইসবার্গের প্রায় ৩০০০ ফিট নিচে আবিষ্কার হল প্রাণের অস্তিত্ব। কয়েক লক্ষ বছরেও এই ঘটনা ঘটেনি। বিজ্ঞানীদের মতে এমন পরিস্থিতিতে কোনও জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীদের মতে অ্যান্টার্কটিকার এমন শীতলতম তাপমাত্রা এবং খাদ্যের অভাবে যে কোনও প্রাণীর পক্ষে বরফের এত ফুট গভীরে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।

এই জীবের আবিষ্কার সম্পর্কে মেরিন সায়েন্সে ফ্রন্টিয়ার্স নামে একটি জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই জীবগুলি অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ-পূর্ব ওয়েডডেল সাগরে ফিল্চনার-রন আইস সেল্ফের নীচে পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সমীক্ষার বিশেষজ্ঞরা এই প্রাণীটি আবিষ্কার করার আগে প্রায় ২,৮৬০ ফুট বরফ খুঁড়ে ফ্লিচনার রন (Filchner-Ronne) বরফের নীচে একটি বোল্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় এই প্রাণীটি উদ্ধার করেন। এমন কঠিন পরিবেশের প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়েছিলেন।

Scroll to load tweet…

বিজ্ঞানী ডাঃ গ্রিফিথ বলেছেন এই বিষয়ে বলেছেন, বরফের এত নীচের স্তরের এই অঞ্চলটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে স্বল্প-পরিচিত বাসস্থানগুলির মধ্যে একটি"। যেই বৈজ্ঞানীকরা এই আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন। যাঁতে বিজ্ঞানীরা দাবী করেছেন, "আমরা ভাবিনি যে স্পনজের মতো এই ধরণের প্রাণীর অস্তিত্ব এখানে পাওয়া যাবে।"

Scroll to load tweet…

এই ফ্লিচনার রন (Filchner-Ronne) বরফের চাঁই একটি বিশাল ভাসমান আইস শিট যা অ্যান্টার্কটিকা থেকে প্রসারিত হয়েছে। এটি ৫৭৯,০০০ বর্গমাইলেরও বেশি এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। তবে এতদিন এই বরফের স্তরের নিচে খুব কম অনুসন্ধান করা হয়েছে। বিজ্ঞানীর এই দল সমুদ্রের তল থেকে নানান নমুনা সংগ্রহ করতে বরফের স্তরে ড্রিলিং করা হচ্ছিল। এই কাজের সময় তাঁদের ক্যামেরা একটি বোল্ডারে ছিঁটকে পড়ে। পরবর্তীতে তাঁরা যখন ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেন, সেই সময় এই প্রাণীর অস্তিত্ব চোখে পড়ে।