সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসক ভারলক্ষ্ণী ইয়ানামান্দ্রা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি আয়ুর্বেদিক রীতি অনুযায়ী ঋতুস্রাবের ব্যাখ্যা করেছেন। আর ওই বিশেষ দিনগুলি কী করে সহজ হবে তারও টিপস দিয়েছেন।
অনেক মহিলা (woman) রয়েছে ঋতুস্রাবের (Menstruation) দিনগুলি তাঁদের কাছে রীতিমত অস্বস্তিকর। অফিসে কি বাড়িতে - স্বাভাবিক হতে পারে না তারা। পেটের ব্যাথা থেকে বমি বমি, পায়ে যন্ত্রণা, শারীরিক অস্বস্তি এই পাঁচ দিন ভারাক্রান্ত করে তোলে। ডাক্তারবদ্যি করেও তেমন কোনও ফল পাননি। সেইস মহিলাদের জন্যই টিপস দিলেন আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic) বিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসক ভারলক্ষ্ণী ইয়ানামান্দ্রা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি আয়ুর্বেদিক রীতি অনুযায়ী ঋতুস্রাবের ব্যাখ্যা করেছেন। আর ওই বিশেষ দিনগুলি কী করে সহজ হবে তারও টিপস দিয়েছেন।
তাঁর কথায় আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ঋতুস্রাব একটি ভাটা প্রভাবশালী পর্যায়। এই সময় রক্তের অবাধ প্রবাহের জন্য অস্বস্তি বোধ হয়। মেয়েরা যদি সেই সময় বেশি কাজ করে বা মানসিক চাপ নেয় তাহলে সমস্যা বাড়তে পারে। ব্যাথা বা রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে। মাসিকচক্রের সময় শরীরকে উপযোগী করার জন্য রুটিন বজায় রাখা জরুরি। ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। রক্তপাত বা মাথাব্যাথা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই হালকা ব্যায়াম করুন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে না থাকাই শ্রেয়।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের কথায় স্বাস্থ্যকর ঋতুস্রাবের লক্ষণ হল- উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তপাত, কোনও দাগ বা দুর্গন্ধ না থাকা। তিনি আরও বলেছেন ঋতুস্রাবের অস্বস্তি সামান্য কমিয়ে দিতে পারে হালকা ব্যায়াম। তবে বেশি সমস্যা সমাধান করে না।
তাঁর পরামর্শ হল পিরিয়ডের সময় শারীরিক স্ট্রেন কমিয়ে দিতে হবে। মলত্যাগ পরিষ্কার হতে হবে। সেইসময় গরম জল খেতে হবে। হলুদ জলে গুলে ছোট ছোট বল তৈরি করে রাখুন। সেগুলি পিরিয়ডের তিনদিন পর্যন্ত খালিপেটে একটা করে খেতে পারেন। বিশ্রামের সময় বাড়িয়ে দিন। ভাত, স্যুপের মত হালকা খাবার খান। তবে সমস্যা বাড়লে বা এই সময় বেশি পেটব্যাথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।