সংক্ষিপ্ত
টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা রোজ খাবার পাতে দই রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু, দিনের বেলা টক দই খাওয়া ঠিক যতটা ভালো, রাতের বেলা টক দই খাওয়া ঠিক ততটাই খারাপ। যদি কেউ রাতে দই খেয়ে ক্ষতির কথা না ভাবেন তাহলে সেটা বড় ভুল হবে।
গরমের দিনে দই ছাড়া যেন কিছুতেই চলে না। আর দই খেলে শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু, অনেকেই দুপুরের পরিবর্তে রাতে দই খাওয়া পছন্দ করেন। রাতে রোজই ডিনারের শেষে টক দই খান। কিন্তু, রাতে দই খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলি সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না।
টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা রোজ খাবার পাতে দই রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু, দিনের বেলা টক দই খাওয়া ঠিক যতটা ভালো, রাতের বেলা টক দই খাওয়া ঠিক ততটাই খারাপ। যদি কেউ রাতে দই খেয়ে ক্ষতির কথা না ভাবেন তাহলে সেটা বড় ভুল হবে। রাতে দই খেলে এটা শুধুমাত্র আপনার স্বাস্থ্যকেই নষ্ট করবে না বরং অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন।
আরও পড়ুন- কম খরচে স্বাস্থ্যকর জলখাবার যা সুস্থ রাখবে শরীরও, চটপট করে বানিয়ে নিন দই বড়া
আয়ুর্বেদে মতে রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। আয়ুর্বেদ একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যার সাহায্যে আজও অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। অবশ্য এর একটা বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজির মতে, দই শরীরের টিস্যুর বিপরীত ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়, যার কারণে এটি শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও করে। তাই রাতে দই খাওয়ার ফলে শরীরে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যার ফলে শরীর ধীরে ধীরে খারাপ হতে পারে।
- রাতে দই খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে বমি হতে পারে। তার জেরে শরীরে দেখা দিতে পারে অস্বস্তি।
- একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় দেখা গিয়েছে যে যারা ২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত রাতে দই খান তাদের ব্রণের সমস্যা দ্রুত হয়। ফলে দিনের বেলা ত্বকের জন্য দই যতটাই ভালো, রাতের বেলা ততটাই খারাপ। তাই আজই বাদ দিন।
- আয়ুর্বেদে আরও বলা হয়েছে যে রাতে দই খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হতে শুরু করে। অত্যধিক শ্লেষ্মা উত্পাদন গলা ব্যথা এবং সর্দির সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আসলে দই সাধারণত সবাই ঠান্ডাই খান। তার থেকেই এই সমস্যাগুলি দেখা যায়।
- একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে অতিরিক্ত দই খেলে মোটা হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু, দিনের বেলা দই খাওয়ার ফলে এই ধরনের কোনও সমস্য়াই দেখা যায় না।
- যাদের বাতের সমস্যা আছে তাদের অন্তত দই খাওয়া উচিত নয়। আসলে অনেক সময় দেখা যায় টক খাবার খাওয়ার ফলে ব্যথা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে শরীরে যদি অস্বস্তি দেখা যায় তাহলে রাত বা দিন কোনও সময়ই টক দই খাবেন না।
- দই পাতার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে। তাই তার মধ্যেই তা খেয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। এছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। তবে দই খুব বেশি ঠান্ডা খাবেন না। ঘরের তাপমাত্রায় এনে খাওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন- ঠান্ডার জন্য নয়, এই বিশেষ কারণেই ভুলেও শীতকালে রাতের বেলা খাবেন না 'টকদই'