সংক্ষিপ্ত

বর্তমান সমাজে এমন বহু মানুষ পাওয়া যাবে, যারা নিজেরা সমকামী (Gay) তা বুঝেও সমাজের চাপে পিছিয়ে আসছে। মানসিক দ্বন্দ্ব কাজ করে তাদের মনে। সমস্যা থেকে মানসিক অসুস্থতা পর্যন্ত দেখা দেয়। এই ধরনের মানুষেরা মানসিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, জানালেন মনোবিদ পল্লবী রায়।

সমাজের বাঁকা চোখ আর অধরা আইনিকে উপেক্ষা করে জিতল ভালোবাসা। কদিন আগেই ভালোবাসার (Love) টানে এনগেজমেন্ট সেরেছেন নাগপুরের দুই তরুণী। তার কিছুদিন আগে বিবাহবন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হয়েছেন দুই তরুণ। হায়দরাবাদে জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দুই তরুণ। বেশকিছু দিন আগেই সংবিধান থেকে বাতিল হয়েছে ৩৭৭ ধারা। যেখানে সমকামিতাকে (Home Sexuality) শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বর্ণিত ছিল। সমকামী সম্পর্ক আইনত সম্মতি পেলেও মধ্যবিত্ত সমাজে এখনও কি সমকামিতা সেভাবে গ্রহণযোগ্য? এই প্রশ্ন উঠেছে বার বার। মধ্যবিত্ত সমাজ কি এখনও দুটি মেয়ে কিংবা দুটি ছেলের ভালোবাসা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারে? 

বর্তমান সমাজে এমন বহু মানুষ পাওয়া যাবে, যারা নিজেরা সমকামী (Gay) তা বুঝেও সমাজের চাপে পিছিয়ে আসছে। মানসিক দ্বন্দ্ব কাজ করে তাদের মনে। সমস্যা থেকে মানসিক অসুস্থতা পর্যন্ত দেখা দেয়। এই ধরনের মানুষেরা মানসিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, জানালেন মনোবিদ পল্লবী রায়। তাঁর কথায়, ‘সমাজ যে আমাদের সব কিছু মেনে নেবে এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনই সমাজের জন্য আমরা নিজেকে বদলে ফেলব তাও হতে পারে না। সমাজকে আমরা পুরোপুরি যেমন উপেক্ষা করতে পারি না, তেমনই উপেক্ষা করতে পারি না নিজেদের ইচ্ছেকে। তাই মনে রাখতে হবে সমকামিতা কোনও রোগ নয়। তাই এটা লুকিয়ে রাখার কিছু নেই।’  

অনেকেই আছে, নিজে সমকামী জেনেও সাহস করে সে কথা পরিবারকে জানাতে পারেন না। এতে সারা জীবন সমস্যার মধ্যে কাটাতে হয়। মনোবিদের মতে, ‘অনেকক্ষেত্রে একজন মানুষ নিজেই বুঝে উঠতে অনেক বছর সময় নেয়, যে সে সমকামী (Gay)। কিন্তু, নিজের এই শারীরিক অবস্থার কথা বুঝতে পারলে তা পরিবারকে জানান। একথা সহজে অনেকেই মেনে নিতে পারে না। তাই লড়াইয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। মনে রাখবেন, প্রতিটা মানুষই কোনও না কোনও কারণে লড়াই করে চলেছেন। তাই নিজের কথা ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। প্রথমে সমস্যা হলেও পরে ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই থাকে। আর যদি ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসেন, তাহলে পরে আফশোস করবেন না। নিজের জন্য যেটা সঠিক সেই সিদ্ধান্ত নিন। মানসিক দ্বন্দ্ব (Mental Conflict) নিজে মেটাতে না পারলে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারেন। তবে, আপনি সমকামী জানান পরও পরিবারের চাপে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে বিয়ে করে, তার জীবন নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, অন্য কারও জীবন নষ্টের অধিকার আপনার নেই।’

আরও পড়ুন: Relationship Tips: ভুলেও এই কয়টি কাজ করবেন না, এই কয়টি ভুলে ভাঙতে পারে সম্পর্ক

আরও পড়ুন: Relationship Tips: প্রেমিকের এই ৫ আচরণ দেখলে সতর্ক হন, এগুলো Dominating Nature এর পরিচয়