সংক্ষিপ্ত
- আদা চা পান, যোগ বা ধ্যান অথবা মধু দিয়ে হুইস্কি
- এতেই নাকি করোনা ভাইরাস থেকে মিলবে মুক্তি
- আরব আমিরশাহীতে ও খোদ চিনে ছড়িয়েছে গুজব
- দু দেশের চিকিৎসকরা পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে
চিনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১। আতঙ্ক দুনিয়ার প্রায় সর্বত্র। এর মধ্যে আরেক কানাঘুষো শুরু হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে; আদা চা পান, য়োগা বা ধ্যান করলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে! এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার চিকিতসকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
'মিরাকল কিউর' নামে একধরনের গুজব দেশটির সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এমন গুজবে পোস্ট করছেন। কেউ লিখেছেন, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির সেরা নিরাময় হচ্ছে আদা চা পান করা। সকালে এবং রাতে এক কাপ করে আদা চান পান করলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে।
এখানেই শেষ নয়। এর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই দুটি গুজব একসঙ্গে আরব আমিরাতে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার বহু চিকিৎসক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন আদা চা পান করলে, য়োগা বা ধ্যান করলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে এর কোনও ভিত্তি নেই।
আরব আমিরাতের মানখুলের অস্টার হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের চেয়ারপারসন বনেসা বারিক বিষয়টিকে ভুয়া খবর বলেই বিশ্বাস করতে বলছেন। তিনি আরও বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যদি এমন গুজব পোস্ট করেন এবং সেটা বিশ্বাস করে ডাক্তারের কাছে না যান বা হাসপাতালে না ভরতি হন তাহলে তার বিপদ কেউ ঠেকাতে পারবেন না। তাছাড়া আরও বিপদের কথা হল; এতে করে এই ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়বে।
করোনা নিয়ে গুজব এখানেই থেমে নেই। ২৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ যুবক কনার রিড চিনের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চিকিৎসকরা তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা না খেয়ে হুইস্কিতে মধু মিশিয়ে কয়েক দিন খেয়েছেন। আর তাতেই নাকি দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত তিন বছর ধরে চিনের বাচ্চাদের ইংরেজি শেখাতেন চিনে রয়েছেন ওয়েলসের নাগরিক কনার। ছ’মাস আগে কনার উহানে যান আর ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এই সময় তার শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি প্রচণ্ড কাশি দেখা দেয়।
অবস্থা বেগতিক বুঝে কনার ডাক্তার দেখান। তবে চিকিৎসকের কোনও পরামর্শই তিনি গ্রহণ করেননি বলে দাবি কনারের। তিনি জানান, শ্বাসকষ্টের জন্য তিনি ইনহেলার ব্যবহার করেছেন আর সঙ্গে মধু দিয়ে হুইস্কি খেয়েছেন। এখন তিনি ভাল আছেন বলে কনার দাবি করেছেন। ব্রিটিশ নাগরিকের এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।