সংক্ষিপ্ত

ঘুমের প্রথম শর্তই হল রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না। নির্ধারিত সময় রাতের খাবার খাবেন। আর রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন। বিছানা শুয়ে দূরে থাকুন গেজেট থেকে।

ঘুম শরীরের পক্ষে অত্যান্ত জরুরি। যারা ভালো করে ঘুমায় তারা অনেক কম অসুস্থ হয়। কিন্তু যাদের ঘুম কম তারা বারবারই অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতে যদি ভালো ঘুম হয় তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কমিয়ে দেয় তেমনই হজমের সমস্যা দূর হয়। এনার্জি বাড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন রাতে সুন্দর ঘুমের কতগুলি শর্ত রয়েছে। সেগুলি যদি মেনে চলেন তাহলে অনেকটাই সমস্যা দূর হয়। 

ঘুমের প্রথম শর্তই হল রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না। নির্ধারিত সময় রাতের খাবার খাবেন। আর রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন। বিছানা শুয়ে দূরে থাকুন গেজেট থেকে। একই সঙ্গে আপনার ভালো ঘুমের জন্য কিছু খাবারেরও সন্ধান দিলাম আমরা আপনাদের। এগুলি ঘুমের অনবদ্য ওষুধ। ক্যামোমাইল চা, বাদাম, আখরোট, ফৎ্যাশন ফ্রুট টি, ফ্যাটি ফিস, কিউই। 

পুনস- একরকম শুকনো ফল। এটি ঘুমের দারুন ওষুধ। এটিতে ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর মেলাটোনিন রয়েছে। এটি ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। রাতের খাবারে এটি রাখতেই পারেন। 
ঘুমানোর আধ ঘণ্টা আগে এগুলি খান। 

গরম দুধ- রাতের ঘুমাতে সাহায্য করে একগ্লাস গরম দুধ। ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে তেমনই বলা রয়েছে। যদি গরম দুধ না খেতে পারেন তবে ঠান্ডা দুধও যথেষ্ট উপকারী। দুধে অবশ্য ইচ্ছে হলে কাজু, জায়ফল বা কাঁচা হলুদ দিতে পারেন। 

কলা- কলা ঘুমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টোটকা। রাতে খাওয়ার আগে একটা কলা খেতেই পারে। এটিতে ভিটামিন বি৬ ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে রূপান্তর করতে পারে। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। নিশ্চিন্তে ঘুমাতে সাহায্য করে। 

কাজুবাদাম- 
একমুঠো কাজুবাদাম ঘুমের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। এটি স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে। যদি ভালো কাজ পেতে চান তাহলে অবশ্যই কলার সঙ্গে এটি খেতে পারেন। 

ভেষজ চা- ক্যাফাইন ছাড়া ভেষজ চা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘুমের টোটকা। এটি অন্ত্র হাইড্রেটিং করতে পারে সহজে।