সংক্ষিপ্ত
আয়ারল্যান্ডের সেন্ট ভিনসেন্ট ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক বোথানি ওং বলেছেনস তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে শরীর সুস্থ রাখতে মদ্যপানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। অতিরিক্ত মদ্যপান শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তিনি আরও বলেছেন পরিমিত অ্যালকোহল হার্টের অসুখ কমিয়ে দিতে পারে।
মদ্যপানকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই মনে করেন অতিরিক্ত মদ্যপান হার্টঅ্যাটার্কের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আর সেই কারণে একদল বিশেষজ্ঞ ঠিক কতটা মদ পান পান করলে শরীর সুস্থ থাকবে হার্ট অ্যাটার্কের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে তাই নিয়ে গবেষণা শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হল বিশ্বের সবথেকে বেশই মদ্যপানকারী অঞ্চল। যদিও এটি প্রমাণিত যে দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামে এক ধরনের হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তবে এশিয়ানদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম।
আয়ারল্যান্ডের সেন্ট ভিনসেন্ট ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক বোথানি ওং বলেছেনস তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে শরীর সুস্থ রাখতে মদ্যপানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। অতিরিক্ত মদ্যপান শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তিনি আরও বলেছেন পরিমিত অ্যালকোহল হার্টের অসুখ কমিয়ে দিতে পারে। তবে কোনও ব্যক্তি যদি মদ্যপান না করে থাকেন তাহলে তাদের কখনই নতুন করে মদ্যপান শুরু করা ঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞদের কথায় হার্টের সমস্যা যাতে না হয়, নিজেকে যাতে সুস্থ রাখতে পারেন তারজন্য প্রতি সপ্তাহে এক বোতলের কম ওয়াইয়ন পান করতে হবে। বোতলের চারভাগে তিন ভাগ ওয়াইন পান করতে পারেন। আর যদি কোনও ব্যক্তি বিয়ার খান তাহলে ৫০০ মিলিমিটার ক্যানের সাড়ে চার শতাংশ বিয়ার পান করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের দলটি ইউরোপীয় সোসাইটির কার্ডিওলজির সঙ্গে যুক্ত।
ওয়াং আরও বলেছেন গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা খতিয়ে দেখতে চেয়েছেন, অ্যালহকোহলের মতো ঝুঁকির কারণগুলির বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিরাপদ মাত্রা সম্পর্কেও একটি সমীক্ষা করা করেছেন।
গবেষণায় ৪০ বছরের বেশি ৭৪৪ জনের ওপর নজর রাখা হয়েছিল। এদের প্রত্যেকেই হাইপ্রেসার, জায়াবেটিস, ওবিসিটিতে আক্রান্ত। কারণ এদের মধ্যে হার্টের সমস্যার একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। দীর্ঘ সমীক্ষার পরই গবেষকার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।
ফলাফলগুলি বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন সপ্তাহে ৭০ গ্রামের বেশি মদ্যপান স্বাস্থ্যকর। হার্টফেলের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি হার্ট সমস্যাগুলিও সমাধান করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কম মদ খেলে কী হয় তাই নিয়ে তারা এখনও পর্যন্ত কোনও গবেষণা করেননি।