সংক্ষিপ্ত

সকলেই জানি যে মধুমেহ রোগের প্রভাব যখন প্রকট হয় তখন ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়| কিন্তু আপনি কী জানেন যে ইনসুলিন গাছের পাতা যদি কচকচ করে চিবিয়ে খান তাহলে মধুমেহ রোগ একেবারে গায়েব হয়ে যেতে পারে|

আজকাল কম বেশি প্রায় সকলের মধ্যেই মধুমেহ রোগ বেশ প্রকট হয়ে উঠছে| শুধু বয়স্ক মানুষ বা একটু বেশি বয়স্ক মানুষদের মধ্যেই যে এই রোগ বাসা বাঁধে এমনটা কিন্তু নয়| স্বল্পরয়সী মানুষের শরীরেও আজকাল দানা বাঁধছে মধুমেহ| সকলেই জানি যে মধুমেহ রোগের প্রভাব যখন প্রকট হয় তখন ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়| কিন্তু আপনি কী জানেন যে ইনসুলিন গাছের পাতা যদি কচকচ করে চিবিয়ে খান তাহলে মধুমেহ রোগ একেবারে গায়েব হয়ে যেতে পারে| এই গাছের আরও অনেক নাম আছে যেমন - ক্রেপ জিঞ্জার, কেমুক, কিউ, কিকন্দ, কুমুল, পকরমুলা এবং পুষ্করমুলা নামেও এই গাছ পরিচিত।

প্রসঙ্গত মধুমেহ রোগের দরুণ শরীরে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে| বলা বাহুল্য, আজকের প্রজন্মের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যায়| এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ইনসুলিন প্ল্যান্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে|  উল্লেখ্য, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনলজি ইনফরমেশন বা এনসিবিআই-এর মতে, এই গাছের পাতার দৌলতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়| এই প্রসঙ্গে একটা কথা জেনে রাখা দরকার যে এই গাছের কোনও অংশে কিন্তু ইনসুলিন নেই বা এটি দেহে ইনসুলিন তৈরিও করে না। এই গাছে যে রাসায়নিক থাকে তার প্রভাবে সুগার বা মধুমেহ  গ্লাইকোজেনে পরিবর্তিত হয়| একইসঙ্গে এই গাছের পাতা মেটাবলিজম বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে|

আরও পড়ুন, হাঁটুর ব্যথায় কাবু, এই শাকটি খান, কাজ দেবে ম্যাজিকের মতো

ইনসুলিন প্ল্যান্টের স্বাদ জিভে কিছুটা টক টক লাগার সম্ভবনা রয়েছে| এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইনসুলিন প্ল্যান্টের গুনাবলী| রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রন করে মধুমেহ রোগকে প্রতিহত করার পাশাপাশি আরও অনেক গুণ রয়েছে এই গাছের| যেমন সর্দি কাশি, ত্বকের সংক্রমণ, চোখের সমক্রমণ, ফুসফুসের রোগ, হাঁপানি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন প্ল্যান্টের জুড়ি মেলা ভার| ইনসুলিন পাতা চিবোলে আপনার শরীরে মেটাবলিক প্রক্রিয়া বাড়বে| এই গাছের পাতা চিবালে মানবদেহের শর্করা গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত হয়|

এবার জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এই ইনসুলিন গাছের পাতা খাবেন| এই গাছের থেকে দুটো পাতা  নিয়ে প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নিন| তারপর চটকে নিন। এ বার গ্লাসে জল নিয়ে ওই পাতার ক্বাত্থ তৈরি করে নিয়মিত পান করুন। বহুবিধ শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন|