সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাস এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল মাস্কের ব্যবহার
  • মাস্ক পরার সচেতনতা বাড়াতে  ওয়্যার মাস্ক চ্যালেঞ্জ শুরু করেছে
  • এই বিষয়ে ইপসোস ১৫ ন্যাশনাল একটি সমীক্ষা করেছে
  •  ৪ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৩ জনই মাস্ক ব্যবহার করেন

করোনাভাইরাস এড়ানোর জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল মাস্কের ব্যবহার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার সচেতনতা বাড়াতে  ওয়্যার মাস্ক চ্যালেঞ্জ শুরু করেছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কেবল মাস্কই যথেষ্ট মাস্ক নয়। এর পাশাপাশি, মানুষকে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধিতেও যত্ন নিতে হবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে ইপসোস ১৫ ন্যাশনাল একটি সমীক্ষা করেছে। এপ্রিলের শেষের দিকে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল, যার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই সমীক্ষাতে জানা গিয়েছে যে, ৪ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৩ জনই মাস্ক ব্যবহার করেন।

১৫ টি দেশের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়।  ইপসোস এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে ভারতীয়রা রয়েছে ৫ নম্বরে। এই সমীক্ষায় প্রথমে আছে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন। পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থানে চিনের ৮৩ শতাংশ,তৃতীয় স্থানে ইতালির ৮১ শতাংশ, চতুর্থ স্থানে জাপান এর ৭৭ শতাংশ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন।

তবে জানলে অবাক হবেন, এই সমীক্ষার থেকে জানা গিয়েছে বিশ্বে উন্নতশীল বেশ কিছু দেশ এই মাস্ক পরার সচেতনার বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। ব্রিটেনে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরেন। পাশাপাশি জার্মানিতে ২০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২১ শতাংশ, কানাডায় ২৮ শতাংশ এবং ফ্রান্সে ৩৪ শতাংশ মাস্ক পরেন। পাশাপাশি নজর করলে দেখা যাবে এই দেশগুলিতে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে মিলেছে।  ১৫ টি বড় দেশ জুড়ে আরও বেশি লোক বলেছেন যে তারা এখন করোনাভাইরাস মহামারি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মুখোশ পরেছে।