সংক্ষিপ্ত
মাথার ওপর যখন গনগন করছে সূর্য, তখন নিজেকে বাঁচাতে হবে বইকী। দাবদাহে সানস্ট্রোকের ভয় যেমন থাকছে, তেমন এই অতিরিক্ত গরমে বিপদে ফেলতে পারে বেশ কিছু সাধারণ রোগ।
এখনও শুরু হয়নি বৈশাখ মাস। বৈশাখ মাস শুরুর আগেই হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তবে এটাই শুরু। আরও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। তাই সাধু সাবধান। বিভিন্ন স্কুল কলেজ, অফিস কাছারি খুলে যাওয়ায় বাইরে বেরোতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই মাথার ওপর যখন গনগন করছে সূর্য, তখন নিজেকে বাঁচাতে হবে বইকী। দাবদাহে সানস্ট্রোকের ভয় যেমন থাকছে, তেমন এই অতিরিক্ত গরমে বিপদে ফেলতে পারে বেশ কিছু সাধারণ রোগ। জেনে নিন কী সেগুলো:
গরমকালে কারা মূলত সমস্যায় পড়েন
১. হৃদরোগী
২. মোটা বা অতিরিক্ত ওজনের মানুষ
৩. উচ্চ রক্তচাপের মানুষ
৪. তরুণ বা বৃদ্ধ মানুষ
৫. সরাসরি রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করা ব্যক্তি
কি ধরণের সমস্যা হয়
হিট ব়্যাশ
ঘাম এবং একটানা রোদে থাকার কারণে ত্বকে হিট ব়্যাশ বের হতে পারে। রোদের এক্সপোজারের ফলে ত্বকে বিরক্তিকর প্যাচ তৈরি হয়, যা গরম এবং আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেশি দেখা যায়। এটির কিছু সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে লাল দাগ, পিম্পল বা ব্রণ, ফোস্কা, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া করা।
হিটস্ট্রোক
রোদে বেরোলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে মানুষ জ্ঞান হারায়। এই পরিস্থিতিই হিট স্ট্রোক। এটি একটি জরুরীকালীন পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লক্ষণগুলির মধ্যে শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, কোমা, বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকতে পারে।
হিট এগজশন
এই অবস্থাটি অত্যধিক ঘামের কারণে লবণ এবং জলের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার ফলে হতে পারে। হিট এগজশনের লক্ষণগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব, তৃষ্ণা, মাথা ঘোরা, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাথাব্যথা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
হিট ক্র্যাম্পস
শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় জল এবং লবণের পরিমাণ শরীর থেকে কমে যায়। এর ফলে শরীরে বেদনাদায়ক ক্র্যাম্প তৈরি হয়। যেগুলি গুলি হিট ক্র্যাম্প নামে পরিচিত। কিছু সাধারণ এলাকা যা প্রভাবিত হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে পা, হাত, পিঠ ইত্যাদি।
হিট সিনকোপ
টানা রোদে এক্সপোজারের কারণে শরীরের তাপের প্রতিক্রিয়াকে হিট সিনকোপ বলা হয়। এছাড়াও ডিহাইড্রেশনের একটি পরিণতি হল হিট সিনকোপ। হিট সিনকোপে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত উপসর্গ দেখা যায়।