সংক্ষিপ্ত
- কম সময়ের মধ্যেই করোনা সারা বিশ্বে তার জাল বিস্তার করেছে
- আক্রান্তের মুখ থেকে নির্গত হওয়া ড্রপলেটস সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে সহজেই
- এক বার কাশির সঙ্গে প্রায় ত্রিশ হাজার ড্রপলেটস মুখ থেকে বেড়়িয়ে আসে
- যা ৫ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে ভাইরাস
খুব কম সময়ের মধ্যেই করোনা সারা বিশ্বে তার জাল বিস্তার করেছে। তাই সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে এত বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে এইমসের চিকিৎসক অজয় মোহন বলেছেন যে, কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা কথা বলার সময় তার মুখ থেকে নির্গত হওয়া ড্রপলেটস বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে সহজেই।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর জীববিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণটি ৫ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছেন এবং তাঁর নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় এই ড্রপলেটসগুলি বাতাসে সহজেই সঞ্চালিত হতে সক্ষম। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এক বার কাশির সঙ্গে প্রায় ত্রিশ হাজার ড্রপলেটস মুখ থেকে বেড়়িয়ে আসে। এগুলি বেশিরভাগই মাটিতে পড়ে তবে অনেকগুলি বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম।
যদি কোনও ব্যক্তি যদি কেবল ১০ মিনিটের জন্য কোনও সংক্রামিত রোগীর মুখোমুখি হয় তবে সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে এক জায়গায় বেশি দিন অবস্থান করা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার সময় ড্রপলেটসগুলি প্রায় ৫০ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে ছড়িয়ে পড়ে। যার অর্থ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো ঘরে ড্রপলেটসগুলি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গবেষকদের মতে, সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে নির্গত ড্রপলেটস থেকে প্রায় ২০ কোটি ভাইরাসের কণা ছড়িয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় যদি কোনও স্বাস্থ্যবান এবং সুস্থ ব্যক্তি, যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির মুখোমুখি হয় এবং যদি সেই সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি হয়, তবে প্রায় এক হাজারটি ভাইরাসের কণা সহজেই নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
তাই বাড়ির বাইরে গেলে উপযুক্ত বিধি মেনে চলা উচিত। বাইরে বেড়লো সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। নিজে সুস্থ থাকুন পরিবারের সকলকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষনাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা বা রোগ নির্ণয় বা চিকিত্সার জন্য নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেবেন না।