সংক্ষিপ্ত

প্রতিদিন পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত একাধিক মহিলা মা হচ্ছেন। তবে, গর্ভধারণের (Pregnancy) আগেই এই কয়টি জিনিস মেনে চলুন। 

বর্তমানে প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৪ জন পিসিওডি (PCOD)-তে আক্রান্ত। ক্রমে এই রোগ বাসা বাঁধছে মহিলাদের শরীরে। মূলত ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মেয়েদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। বর্তমানে, পিসিওডি (PCOD) বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ নিয়ে একাধিক মিথ (Myths) রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, পিসিওডি হলে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব। এই কথা মোটেও ঠিক নয়। প্রতিদিন পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত একাধিক মহিলা মা হচ্ছেন। তবে, এটা সত্য যে এই রোগ আক্রান্ত হওয়ার পর গর্ভধারণ (Pregnancy) করলে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তবে, গর্ভধারণের আগেই এই কয়টি জিনিস মেনে চলুন। 

পিসিওডি আক্রান্ত মহিলারা গর্ভধারণ করতে চাইলে জীবনযাত্রায় (Lifestyle) পরিবর্তন আনুন। পিসিওডি হলে শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম (Sleep) এবং নিয়মিত শরীরচর্চা (Exercise) করা প্রয়োজন। অ্যালকোহল, ধূমপান একেবারেই করবেন না। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন রেস্তোরাঁর খাবার। একেবারেই খাবেন না ভাজাভুজি। 

স্ট্রেসের (Stress) জন্য শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে হরমোনের (Hormone) ভারসাম্যহীনতায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর স্ট্রেস নিলে এই হরমোনের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত হাঁটুন, যোগা করুন, প্রাণায়ম করুন। এর সঙ্গে মেডিটেশন (Meditation) করুন। এতে স্ট্রেসের সমস্যা দূর হবে। গর্ভধারণে সমস্যা হয় ঠিকই। পিসিওডি হলে মা হতে পারবেন না এমন নয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা হয়। 

আরও পড়ুন: Dengue: হাওড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত, রক্তদান শিবিরের সংখ্যা বাড়াতে উদ্য়োগী স্বাস্থ্য দফতর

আরও পড়ুন: Health Tips: হিং বেশি খেলে সতর্ক হোন, হতে পারে মারাত্মক এই সমস্যাগুলি

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিসিওডি আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভধারণের (Pregnancy) সময় নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিয়ম করে ওষুধ খান। পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার আগে ডাক্তারি চিকিৎসা করা প্রয়োজন। পিসিওডি হলে ডাক্তার থাইরয়েড, ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং অন্যান্য হরমোনের পরীক্ষা করিয়ে নেন আগে থেকে। তাই ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চললে কোনও সমস্যা হবে না। 

এই রোগে আক্রান্ত হলে সবার আগে পরিবর্তন করুন খাদ্যতালিকা। ওষুধ তো খাবেনই। তার আগে পুষ্টিকর খাবার খান। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল, বাদাম, শাকসবজি। এই খাবারগুলো দেহের সকল খাটতি পূরণ করে সুস্থ হতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে শরীরে ভিটামিন ডি-এর (Vitamin D) ঘাটতি নিরাময় করুন।  ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান। রোজ ভোরে আধ ঘন্টা সূর্যের আলোয় হাঁটুন। এটা শরীরের জন্য উপকারী।