সংক্ষিপ্ত
আসলে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সেরা চিকিত্সা হল আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই খুশকিকে চিরজীবনের মতো বিদায় জানানো যায়। আর এগুলি চুলে পুষ্টির সঠিক জোগানও দেয়।
মেয়েদের কাছে চুল খুবই প্রিয়। আর এই চুল ভালো রাখতে অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন। বিজ্ঞাপন দেখে দেখে নিত্য নতুন জিনিসের ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে খুশকির সমস্যা একটা বড় সমস্যা। শীত হোক বা বর্ষা খুশকি যেন যেতেই চায় না। অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। যতই ভালো শ্যাম্পুর ব্যবহার করুন না কেন এই সমস্যার সমাধান কিছুতেই হয় না। যা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। আসলে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সেরা চিকিত্সা হল আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই খুশকিকে চিরজীবনের মতো বিদায় জানানো যায়। আর এগুলি চুলে পুষ্টির সঠিক জোগান দেয়।
নিম শরীরের জন্য খুবই ভালো। যে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় নিমের সাহায্যে। খুশকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো তেল হল নিমের তেল। এতে অন্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গালের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্ক্যাল্পে খুশকির হওয়ার প্রধান কারণ হল ক্যানডিডা ও মালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের উপস্থিতি। এগুলিকে নিরাময় করতে নিমের তেল খুবই উপকারী। আপনার তেলের সঙ্গে নিমের রম মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে এই সমস্যা দূর করা যেতে পারে।
আমলা চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র চুলের বৃদ্ধিতেই কাজে লাগে তা নয়, চুলকে ঘন ও মসৃণ করতেও সাহায্য করে। আমলার রস সরাসরি মাথার ত্বকের প্রয়োগ করা যায় ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই রস তেলের সঙ্গে মিশিয়েও মাথায় মাখতে পারেন। তাতেও আপনার খুশকির সমস্যা দূর হবে।
নারকেল তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। বহু যুগ ধরেই এই তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু, এখন বাজার চলতি নিত্য নতুন তেলের কাছে এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা কমলেও এর আয়ুর্বেদিক গুণ কিন্তুএকই রয়েছে। চুলের যে কোনও সমস্যার জন্য এই তেল অপরিহার্য। মাথার ত্বককে হাইড্রেট করতে ও পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলেই খুশকি হয়। তাই প্রতি সপ্তাহে নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখুন, খুশকির সমস্যা দূর হবে।
খুশকি এড়াতে অলিভ অয়েলের কয়েক ফোঁটা ও আদার রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। এই মিশ্রণটি তৈরি করে একটি পাত্রে রেখে দিতে পারেন। তারপর স্নান করার এত ঘণ্টা আগে এটি মাথায় লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রিঠা এখন খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু, আগে রিঠা দিয়েই চুলে শ্যাম্পু করতেন বহু মানুষ। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। আমলার সঙ্গে এটি মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তারপর সেটা প্রয়োজন মতো মাথায় লাগিয়ে একঘণ্টা রাখুন। এরপর তা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি আর হবে না।
পাতি লেবুও খুশকির দূর করতে খুবই উপকারী। স্নান করার আগে মাথায় ভালো করে পাতি লেবুর রস মেখে নিন। খুব বেশিক্ষণ রাখবেন না। তেমন হলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতেও খুশকির সমস্যা দূর হয়।