সংক্ষিপ্ত
মানসিক চাপ মোকাবিলা করার প্রধান চ্যালেঞ্জ হল আপনার মনকে শান্ত করা ও নেচিবাচক চিন্তাগুলোকে ইতিবাচক করে তোলা।
স্ট্রেস (Stress) মানুষের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে বেড়েছে আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা। চাপ যেন কোনওভাবেই মন থেকে দূর হয় না। বাড়ির চাপ, অফিসের চাপ (Office Pressure) সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে নাজেহাল। এতে জীবন একেবারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আর মানসিক বেড়ে যাওয়ার ফলে পরিবারের সদস্যদেরও ঠিক করে সময় (Time) দিয়ে উঠতে পারছেন না অনেকেই। এর জেরে অনেকেই চিকিৎসকের (Doctor) পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে চিকিৎসকের কাছে আগে না গিয়ে বাড়িতেই স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। কীভাবে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করবেন, রইল কিছু সহজ টিপস….
ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি সত্যিই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলের ব্যবহার না করাই ভালো। তাই যদি আপনাকে খেতেই হয় তাহলে তা খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না। কারণ ক্যাফেইন মানসিক চাপ কমানোর পরিবর্তে তা বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বিষন্নতা গ্রাস করে। তার পরিবর্তে মনকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। ওই সময় ফলের রসও খেতে পারেন।
গভীর ঘুম
মানসিক শান্তির জন্য গভীর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনবদ্য। বর্তমানে কাজের চাপের কারণে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ফলে মানসিক চাপ দিন দিন বাড়তেই থাকে। কাজ করা ও সঠিকভাবে না ঘুমানোর এই চক্র সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে রাতে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার একঘণ্টা আগে টিভি ও মোবাইল বন্ধ করে দিন। কারণ এগুলি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটবেন না।
সামাজিকতা বজায় রাখুন
বর্তমানে মানুষ একে অপরের থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন। কাজের জগতের সঙ্গে এতটাই জড়িত যে তাঁদের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকার সময় নেই। ফলে আত্মীয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠান বাড়িতে যোগ দেওয়া বা বন্ধুদের ঘুরতে যাওয়াও একেবারেই বন্ধ। একাকীত্ব মানুষের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই সামাজিক হওয়ার চেষ্টা করুন। যতই এই চেষ্টা করবেন ততই মন ভালো থাকবে। আর চাপও অনেক কম অনুভূত হবে। প্রয়োজনে প্রিয়জনদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলুন।
চুইংগাম
ভাবছেন কিভাবে দ্রুত দুশ্চিন্তা দূর করা যায়? মানসিক চাপে দ্রুত উপশমের জন্য চুইংগাম চিবানোর চেষ্টা করুন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যাঁরা গাম চিবিয়েছেন তাঁদের মানসিক চাপ তুলনামূলক অনেক কম। ভালো থাকার দুর্দান্ত একটি উপায় এটি। আসলে চুইংগাম মস্তিষ্কের তরঙ্গ শিথিল করে এবং এটি আপনার ত্বকে রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
যতটা পারুন মন খুলে হাসুন
হাসি হল মনের সবচেয়ে ভালো ওষুধ। এর থেকে ভালো ওষুধ কোনওটা হতেই পারে না। তাই যখনই আপনি উদ্বিগ্ন বোধ করবেন, যতটা সম্ভব হাসতে চেষ্টা করুন এতে অনেকটা হালকা অনুভব করবেন। হাসি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। চাপ থেকে মুক্তি দিতে এবং আপনার পেশীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করে। আপনি হাসলে আপনার শরীর এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে মেজাজ ভালো রাখে এবং চাপ কমায়।