সংক্ষিপ্ত
- পিকনিক সেরে ফেরার পথে ঘটল দুর্ঘটনা
- লরিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারল বাস
- একজনের মৃত্যু, আহত ১৫
- আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
দল বেঁধে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন সকলে। ফেরার পথে বাস ও লরির সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন। রবিবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটজন ভর্তি হাসপাতালে।
কেউ বাসচালক, কেউ হেল্পার তো কেউ আবার খালাসি। হাওড়ার দাশনগরের বিভিন্ন রুটের ২৪ জন পরিবহণকর্মী পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায়। বাসে করে যখন তাঁরা ফিরছিলেন, ততক্ষণে ভোর হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উলুবেড়িয়ার জামবেড়িয়া সেতুর কাছে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। বালিবোঝাই লরিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে বাসটি। সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল, যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহত হন ১৫ জন। সকলেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আটজন ভর্তি হাসপাতালে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাকীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনাথ হল ছোট্ট মেঘনা, স্ত্রীকে খুন করে গ্রেফতার তার বাবা
এই দুর্ঘটনার কারণে রবিবার ভোরে বেশ কিছুক্ষণ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? বাসে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনুমান, রাতভর বাস চালিয়ে চালক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ভোরের দিকে সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তার জেরেই ঘটে বিপত্তি। দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে আবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এসে টোলপ্লাজারই এক নিরাপত্তাকর্মীকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ভিনরাজ্য়ে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।