সংক্ষিপ্ত
- করোনার বিরুদ্ধে লড়াই
- সুস্থ হয়ে উঠলেন ক্য়ানসার আক্রান্ত মহিলা
- বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে স্বাগত জানালেন চিকিৎসকরা
- খুশির হওয়া হাওড়ার বাগনানে
তাহলে করোনাকেও হারানো যায়! সপ্তাহ দুয়েকের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা। তাঁকে রীতিমতো করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সরা। খুশির হাওয়া হাওড়ার বাগনানে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে কাজে যোগ দিতে বাধা, বাড়ি গিয়ে নার্সকে সংবর্ধনা পুরপ্রধানের
করোনা জয়ী ওই মহিলার বাড়ি বাগনানের সাহড়া গ্রামে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। মাস দুয়েক আগে ক্যানসার ধরা পড়ে। কেমো নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, কেমো দেওয়ার আগে রুটিন পরীক্ষার জন্য রোগীর লালারস বা সোয়াব সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে। এরপর ওই মহিলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই মহিলার স্বামী-সহ ১০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের সকলেরই অবশ্য রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ক্য়ানসার আক্রান্ত মহিলাও।
আরও পড়ুন: মসজিদ থেকে ত্রাণ গেল মন্দিরে, লকডাউনে সম্প্রীতির নজির এ রাজ্যে
আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা আক্রান্ত প্রথম এক চিকিৎসকের মৃত্যু, রীতিমত চিন্তায় স্বাস্থ্য় দফতর
শনিবার দুপুরে বাগনানে সাহড়া গ্রামে বাড়ির সামনে হাজির হন স্থানীয় মুগকল্যাণ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্স, এমনকী আধিকারিকরাও। ওই মহিলা যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন, ছিলেন সেই স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। বাড়িতে ফিরতেই করতালি দিয়ে করোনাজয়ীকে স্বাগত জানান সকলেই। স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরাও।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের ১৭০টি জেলাকে সংক্রমণের হটস্পট বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া-সহ রাজ্যের চারটি জেলাও। সপ্তাহ খানেক নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।