সংক্ষিপ্ত
- কারখানার হিসেবে 'গরমিল'
- কর্মচারীকে রাতভর আটকে রেখে 'বেধড়ক মার'
- কারখানার মালিক-সহ গ্রেফতার দু'জন
- হাওড়ার বাঁধাঘাটের ঘটনা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া: ম্যানেজারের কারসাজিতেই কি বিপদে পড়লেন? টাকা আদায়ের জন্য কর্মচারীকে রাতভর আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করলেন কারখানার মালিক! পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত কারখানা মালিক-সহ দু'জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁধাঘাটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে, গ্রেফতার ৮
জানা গিয়েছে, আক্রান্তের নাম শুকদেব দাস। বাড়ি, কলকাতার দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায়। উত্তর হাওড়ার বাঁধাঘাট এলাকায় একটি জামাকাপড় তৈরির কারখানা কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিন কেনাবেচার পর যা আয় হত, সেই টাকা ম্যানেজার মারফৎ পাঠিয়ে দিতেন কারখানা মালিককে। মঙ্গলবার সকালে শুকদেবকে ডেকে পাঠানো হয় অফিসে। বাইরে থেকে লোক আনিয়ে বেধড়ক মারধরের পর রাতভর তাঁকে আটকে রাখা হয় অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্রতম জাতীয় পতাকা এঁকে নজির, রেকর্ড বুকে নাম উঠল রায়গঞ্জের কিশোরের
এদিকে স্বামী না ফেরার রাতেই হাওড়ার বাঁধাঘাটে কারখানার অফিসে হাজির হন শুকদেবের স্ত্রী সোমা। কিন্তু নিজের গয়না বিনিময়েও যখন শুকদেবকে ছাড়িয়ে আনতে পারলেন না, তখন স্থানীয় মালিপাঁচঘরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পোশাক কারখানার ওই কর্মীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিক-সহ দু'জনকে। কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? শুকদেব দাসের অভিযোগ, তিনি যে টাকা পাঠাতেন, তার উপর অতিরিক্ত টাকা চাপিয়ে কারখানার মালিকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ম্যানেজার। মালিককে ভুল বুঝিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। টাকা দিতে না পারায় আটকে রেখে চলে বেধড়ক মারধর।