সংক্ষিপ্ত

  •  টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১৪ জন গ্রেফতার
  • এদের মধ্য়ে রয়েছে হাওড়ার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতার ভাই
  •  একটি ভিডিয়ো টুইট করে এই দাবি করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ
  • পুলিশের দাবি ঘটনায় শেখ রিয়াজুদ্দিন নামক ওই ব্যক্তির প্ররোচনা ছিল 

হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্য়ে রয়েছে হাওড়ার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতার ভাই। একটি ভিডিয়ো টুইট করে হাওড়া সিটি পুলিশ দাবি করেছে, ঘটনায় শেখ রিয়াজুদ্দিন নামক ওই ব্যক্তির প্ররোচনা ছিল টিকিয়াপাড়ার ঘটনায়। ইতিমধ্য়েই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। 

— Howrah City Police (@hwhcitypolice) May 4, 2020

পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেই ব্যক্তি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার আগে কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলছেন ওই ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি বিজেপি নেতার ভাই বলে দাবি করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম শেখ কলিমুদ্দিন।

কদিন  আগেই হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় হটস্পট এলাকায় লকডাউন ভাঙা জনতাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলায় পুলিশের উপরে আক্রমণ চালাল উন্মত্ত জনতা। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশকর্মীর মাথা ফাটে, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দুটি গাড়িতে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া থানা এলাকার টিকিয়াপাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাসের কাছে। আগেই ওই এলাকাগুলি হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

করোনা সংক্রমণের জের, এবার বন্ধ পিয়ারলেস হাসপাতাল..

 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া শহর এলাকাকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘোষণা করেন। রেড জোনে থাকা হাওড়াকে তিনি ১৪ দিনের মধ্যে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। তারপরেও মঙ্গলবার প্রায় সকাল থেকেই ওইসব এলাকায় বহু মানুষকে লকডাউনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। বিকেলে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে ফল ও অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য অসংখ্য মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। এই সময়ে এলাকায় টহলরত পুলিশ বাইরে বেরোনো মানুষজনকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। 

বাংলা ওপরে সবুজ-ভিতরে লাল, করোনা নিয়ে এবার মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি দিলীপ ঘোষের

কিন্তু পুলিশের অনুরোধকে গ্রাহ্যের মধ্যেই আনেনি রাস্তায় নামা কয়েকশো মানুষ। বিকেল যত গড়িয়েছে মানুষের ভিড় ততই বাড়তে থাকে। কারও মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদও ছিল না। অভিযোগ, একরকম বাধ্য হয়েই পুলিশ এলাকার মানুষকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য সামান্য বল প্রয়োগ করে। তৎক্ষণাৎ কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। তারপরই তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। র্য়াফ কর্মীকেও সম্মিলিত জনতা মারধর করতে থাকে। 

জনতার ছোঁড়া ইটের আঘাতে একজন সাব-ইন্সপেক্টর সহ দুই পুলিশকর্মীর মাথা ফাটে। উন্মত্ত জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে পুলিশ কর্মীরা কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন। তারপর বিশাল সংখ্যক পুলিশ, রাফ ও কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।