সংক্ষিপ্ত
- প্রাপ্য সামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগ
- ডিলারকে বেঁধে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
- বিক্ষোভের আঁচ এবার পৌঁছে গেল হুগলিতেও
- পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
সরকারের কড়া পদক্ষেপের আশ্বাসেও কি ভরসা নেই? কম রেশন দেওয়ার অভিযোগে ডিলারকে বেঁধে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ এবার হুগলিতেও।
আরও পড়ুন: টিকিয়াপাড়ার এবার সিউড়ি, ভিড় সরাতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ
লকডাউনের সময়ে বিনামূল্যে রেশন দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে সরকার। যতদিন যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ততই বাড়ছে। কোথাও রেশনে কারচুরি, তো কোথাও আবার নিম্নমানের সামগ্রীর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ, রেহাই পাচ্ছেন না রেশন ডিলাররাও।
হুগলির শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় রেশন দোকান চালান গৌতম মণ্ডল। সোমবার সকালে যথারীতি তাঁর দোকানে ভিড় করেছিলেন গ্রাহকরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যখন রেশন বিলি করা হচ্ছিল, তখনই ঘটে বিপত্তি। গ্রাহকদের অভিযোগ, কার্ড থাকা সত্ত্বেও যতটা চাল-গম পাওয়ার কথা, তার থেকে কম দেওয়া হচ্ছিল। এমনকী. চালে পোকাও ছিল। কী ব্যাপার? অভিযুক্ত রেশন ডিলার গৌতম মণ্ডলকে চেপে ধরেন গ্রাহকরা। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। ডিলারকে দোকানে ভিতরে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়। দোকানের সামনে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: করোনা গুজবে বিড়ম্বনায় মা-মেয়ে, গ্রেফতার অভিযুক্ত
আরও পড়ুন: বেশি দামে মদ কেনারও লোকের অভাব নেই, লকডাউনে লিকার শপের সামনে লম্বা লাইন
উল্লেখ্য, এর আগে কম রেশন দেওয়ার অভিযোগে হুগলির পাণ্ডুয়া ও সিঙ্গুরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। গোঘাটে আবার একাধিক রেশন দোকান গিয়ে ওজনে কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখেছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। স্থানীয় এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্য দপ্তরের অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯ জনকে। আরও ২ জনকে সাসপেন্ড, ৮ জনকে শোকজ, এমনকী, বেশ কয়েকজনের লাইন্সেসও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।