সংক্ষিপ্ত
বুদ্ধগয়া বোমা বিস্ফোরণ (Bodh Gaya Blast) মামলায় নবম আসামীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। এই মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র (National Investigation Agency) হাতে ধরা পড়েছিল একমাত্র এই বাংলাদেশিই (Bangladeshi)।
১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হল, বুদ্ধগয়া বোমা বিস্ফোরণ (Bodh Gaya Blast) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া নবম সন্ত্রাসবাদীকে। সেইসঙ্গে তাকে ৩৮,০০০ টাকা নগদ জরিমানাও করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, আসামী জাহিদুল ইসলামই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া একমাত্র বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক। গত বুধবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল, পাটনার জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র (National Investigation Agency) এক বিশেষ আদালতের বিচারক গুরবিন্দর সিং মেহরোত্রা। সেদিনই বিচারক জানিয়েছিলেন, শুক্রবার আসামীর সাজা শোনানো হবে।
জামাত সদস্য ছিল জাহিদুল ওরফে কওশর
এদিন, বিশেষ এনআইএ বিচারক,গুরবিন্দর সিং মেহরোত্রা জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির বিস্ফোরক আইন (Explosive Substance Act), ইউএপিএ (UAPA) এবং বিদেশী নাগরিক আইনের (Foreigners Act) বিভিন্ন ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে জাহিদুল ইসলাম ওরফে কওশর। সে জামাত-উল-মুজাহিদিন (Jamaat-ul-Mujahideen) জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল। এই সকল অপরাধের জন্যই তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। ৩টি আইইডি লাগানোর জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
সাজা পেয়েছে বাকি ৮ জন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাটনার (Patna) এই বিশেষ এনআইএ আদালতই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, ২০১৮ সালের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের জন্য এর আগের ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। পয়গম্বর শেখ, নূরে আলম ও আহমদ আলি নামে তিনজন সন্ত্রাসবাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৫ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল
২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি, বৌদ্ধ তীর্থ বুদ্ধগয়াতে ধর্মোপদেশ দিতে এসেছিলেন দলাই লামা (Dalai Lama)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেই সময়কার উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপালও। তাঁরা সেই স্থল ত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টা পরই বুদ্ধগয়া মন্দির কমপ্লেক্সের আশেপাশের এলাকায় আধঘন্টার মধ্যে পরপর ১০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দুই লামা-সহ মোট ৫ জন আহত হয়েছিলেন।
এনআইএ-র তদন্ত
২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছিল এনআইএ। ওই বছরেরই ২৭ সেপ্টেম্বর, তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি, আরও ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরা ছিল - আদিল শেখ, দিলওয়ার হুসেন, আব্দুল করিম, মুস্তাফিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম ওরফে কওশর এবং আরিফ হোসেন।