AI Robot News:  ক্লাসে স্যর, ম্যাডামদের পড়ানোর দিন বুঝি শেষ হতে চলল। এবার থেকে পড়াবে মানুষেরই তৈরি রোবট! অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলল লখনউয়ের এক কলেজে। ‘সোফিয়া’ রোবটের ধাঁচে এবার ‘সোফি’ নামে একটি এআই রোবট বানিয়ে ফেলল ১৭ বছরের এক কিশোর।

AI Robot News: উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই এক স্কুলছাত্র তৈরি করে ফেলেছে এক এআই-চালিত (AI) শিক্ষিকা রোবট (Robot)। নাম তার সোফি (Shopie)। শিবচরণ ইন্টার কলেজের ক্লাসরুমে রোবটটিকে ঘিরে যে ডেমো দেখানো হয়, তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় জোর আলোচনা।

কীভাবে কাজ করবে এই রোবট?

ভিডিওতে দেখা যায়, রোবট ‘সোফি’ নিজেকে পরিচয় করিয়ে বলছে - “আমি এআই টিচার রোবট সোফি। আমাকে বানিয়েছে আদিত্য। আমি শিবচরণ ইন্টার কলেজে (Shivcharan Inter College) পড়াই। তোমরা কি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাও?” ক্লাস ১২-র ছাত্র আদিত্য কুমার, যিনি রোবটটির নির্মাতা, কয়েকটি সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন করেন।

আদিত্য প্রতিদিন স্কুল শেষে ল্যাবরেটরিতে বসে থাকত—তার মনোযোগ থাকত কেবল তার, সার্কিট আর নানা রকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দিকে। সে এই রোবট তৈরি করেছে নিজের শেখা জ্ঞান আর তীব্র কৌতূহলকে পুঁজি করে। এমনকী, নেয়নি কোনও সরকারি অর্থ সাহায্যও। সূত্রের খবর, আদিত্যর বাবা একজন কম্পাউন্ডার, মাসে আয় প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এই রোবট নির্মাণের জন্যে তার বাবা বেশ কিছু টাকা ধারও করেছেন। আর্থিক কষ্ট থাকা সত্ত্বেও আদিত্যর পরিবার সবসময় তার স্বপ্নকে উৎসাহিত করেছে।

আদিত্য কখনও রোবোটিক্সের কোনও কোর্স করেনি বা আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেয়নি। ছোটবেলায় সে তার কাকার হাতে ছোট খেলনা রোবট তৈরি হতে দেখেছিল। সেখান থেকেই সে অনুপ্রেরণা পায়। বাতিল জিনিসপত্র, পুরোনো ইলেকট্রনিক্স এবং বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে সে এই রোবট তৈরি করেছে।

আদিত্য জানিয়েছে, সে এর আগেও বেশ কিছু রোবট তৈরি করেছে। তবে সোফিয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। আদিত্য জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই শিক্ষকরা ক্লাসে আসতে পারেন না। তার জন্যে পড়ুয়াদের একটা ক্লাস নষ্ট হয়ে যায়। সেই সমস্যা দূর করতেই সোফিয়া ম্যাডামকে বানায় সে।

ছাত্রদের প্রশ্নের টপাটপ উত্তর দেয় সোফি। যেমন, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা মাত্র জানিয়ে দেয়। স্বভাবতই আদিত্যের কীর্তিতে গর্বিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

আর সোফির স্রষ্টা কী বলছে? উচ্ছ্বসিত আদিত্যর বক্তব্য, ‘‘অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম এআই দিয়ে কিছু বানাব। শিক্ষিকাই বানালাম। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখন রোবট তৈরি করছে। আমি পারি কি না, দেখছিলাম। আমার এই শিক্ষিকা স্কুলপড়ুয়াদের দারুণ কাজে আসবে। এখন ও শুধু বলতে পারে। যাতে ও লিখতেও পারে, সেই বিষয়টা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছি।’’ ছাত্রদের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রত্যেক স্কুলে এআই গবেষণাগার থাকা উচিত বলে দাবি আদিত্যর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।