সংক্ষিপ্ত
জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিলেছিল কেরালায়। আর এবার সেই একই রাজ্যে সন্ধান পাওয়া গেল জিকা ভাইরাসের।
কেরালায় ফের মিলল জিকা ভাইরাসের খোঁজ। এর ফলে মোট জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীণা জর্জ।
আরও পড়ুন- এবার পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের বাছতে পারবেন আপনিও, সুযোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এটি একটি মশা বাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এর বাহক এডিস মশা। দিনের বেলায় সাধারণত এই মশা কামড় দেয়। চিকুনগুনিয়া রোগের মতো একই উপসর্গ দেখা যায় জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। সাধারণত জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভয়াবহ শারীরিক কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। সঙ্গম ও রক্তের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন- কাঁঠাল থেকে ওরিও বিস্কুট, রথযাত্রার আগে জগন্নাথ দেবের ১০৮ ছবি আঁকলেন প্রযুক্তিবিদ
করোনা এখনও পুরোপুরি যায়নি। দেশে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওঠানামা করছে। আর এর মধ্যেই জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিলেছিল কেরালায়। আর এবার সেই একই রাজ্যে সন্ধান পাওয়া গেল জিকা ভাইরাসের।
যদিও জিকা ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর কেরালা সরকার। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে শহরে মোট ১৫ জনের শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। প্রথম এক গর্ভবতীর শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল। পারাসালার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ডেলিভারির জন্য তিনি শহরে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁর শরীরে জিকা খোঁজ পাওয়া যায়।"
আরও পড়ুন- তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান, সাহসী অভিযানে ভারতীয়দের উদ্ধার করল বায়ুসেনা
তিনি আরও বলেন, "১৯ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পুনের এনআইভিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ১৩ জনের শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তারপর আরও ১৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। খুব কাছ থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"