সংক্ষিপ্ত
মধ্য প্রদেশে আবারও গণধর্ষণের অভিযোগ
১৯ বছরের তরুণী নির্যাতিতা
অভিযুক্ত ৭ দুষ্কৃতী
৩ জন নাবালক
করোনা সংকট মোকাবিলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু এই মারণ ছোঁয়াচে রোগেও ভয় নেই দুষ্কৃতীদের। এক ১৯ বছরের তরুণীকে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ মাত্র ৪ জনকেই চিহ্নিত করতে পেরেছে। যার মধ্যে আবার তিন জন নাবালক।
বুধবার রাত তখন আটটা বাজে। স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে একটি মোটর সাইকেলে ফিরছিলেন ২১ বছরের দাদার সঙ্গে ফিরছিলেন ১৯ বছরের বোন। মোটর সাইকেলের হেডলাইটের সমস্যা দেখা দেয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি মেরামতি করার সময়ই বিপদের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। আক্রান্তদের কথায় সেই সময় পথ চলতি তিন জন তাঁদের ওপর চড়াও হয়। নির্যাতিতা তরুণীর দাদাকে মারতে মারতে একটি পরিত্যক্ত কুঁয়োর মধ্যে ফেলে দেয়।তারপরই ১৯ বছরের তরুণীকে টানতে টানতে নিয়ে যায় একটি বাঁধের কাছে।
নির্যাতিতা তরুণীর কথায় সেই বাঁধে কাছে আরও চার জন অপেক্ষা করছিল। যারা একে একে তরুণীর ওপর নির্মম অত্যাচারে লিপ্ত হয়। নির্যাতিতার তরুণীর অভিযোগ রাত ৮টা ৩০ থেকে প্রায় রাত ২টো পর্যন্ত তাঁকে ধর্ষণ করে ৭ জন দুষ্কৃতী।
অন্যদিকে জ্ঞান ফেরার পর পরিত্যক্ত কুঁয়ো থেকে উঠে নির্যাতিতার ভাই বাড়িত ফিরে যায়। পরিবারের সদস্যদের সমস্ত বিষয়টি জানায়। তারপর পরিবারের সদস্যরাই নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করে। এক দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সকাল গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করে বিলে স সন্দীপসহ ৫ দুষ্কৃতীকে। যাদের মধ্যে ৩ জনই নাবালক। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ ছক ভাঙা ইরফানকে টক্কর দিয়েছিলেন ঋষি, ভেঙে ফেলেছিলেন নিজের চকোলেট বয় ইমেজ ...
এই লকডাউন পর্বেও মহিলাদের ওপর হিংসার বিরাম নেই মধ্যপ্রদেশে। স্থানীয় প্রশাসনের কথায় লকডাউনের এই পর্বে চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক অপরাধ কমলেও মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনা বেড়েছে রাজ্যে। দিন কয়েক আগেই বাড়ির মধ্যেই ধর্ষণ করা হয় ৫৩ বছরের এই ব্যাঙ্ক কর্মীকে। শারীরিক নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি ৬ বছরের এই শিশুও।