সংক্ষিপ্ত

নদীতে ঝাঁপ নিয়ে আত্মহত্যা স্বামী
আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয় দম্পতির রহস্য মৃত্যু
একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন তাঁরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় দম্পতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশই দানা বাঁধছে। কারণ স্থানীয় প্রশাসনের কথায় স্বামী স্ত্রী দুজনেরই মৃত্যু অস্বাভাবিক। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন মৃত মহিলা গরিমা কোঠারি। তাঁর স্বামী মনমোহন মল। দুজনেরই নিউ ইয়র্কের জার্সি শহরের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র ৪০ মিনিটের ব্যধানে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। 

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যে ৭টা ১৫ মিনিট। জারি শহরের দম্পতির নিজস্ব অ্যাপাটমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল গরিমার নিথর দেহ। সম্ভবত ৫ মাসের গর্ভাবতী ছিলেন গরিমা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী দেহের উপরিভাগে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গরিমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে জানিয়েছেন যে সময়  ফ্ল্যাট থেকে গরিমার দেহ উদ্ধার করেছিলেন ঠিক সেই সময়ই হাডসন নদী সংলগ্ন পাথ ট্রেন স্টেশনর কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্বামী মনমোহন মলের নিথর দেহ। মনমোহন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই দাবি তদন্তকারীরে। স্ত্রীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ মিনিটের মধ্যেই তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। 

মনমোহন কি তাঁর স্ত্রী গরিমাকে খুন করেছেন ? সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জার্সি শহরে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। মূলত ভারতীয় খাবারই বিক্রি হত।  রেস্তোরাঁর কর্মীরা জানিয়েছেন তাঁরা খুবই সুখী দম্পতি ছিলেন। গরিমার পরিবারের সদস্যা জানিয়েছেন মনমোহন খুবই বুদ্ধিমান ছিলেন। আইআইটির ছাত্র। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তাঁদের মেয়ে গরিমারও যথেষ্ট যত্ন নিতেন। রন্ধন শিল্পে পটিয়সী ছিলেন গরিমা। প্যারিসের লো কর্ডনব্লিউতে পড়াশুনা করেছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ার মাস্টার শেফ প্রতিযোগীতায় সাফল্যও পেয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ চেন খলতে মরিয়া ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেন দম্পতির এই পরিণতি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

আরও পড়ুনঃ ছক ভাঙা ইরফানকে টক্কর দিয়েছিলেন ঋষি, ভিঙে ফেলেছিলেন নিজের চকোলেট বয় ইমেজ ..

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সিনেমার জন্য ভয়ঙ্কর সপ্তাহ, ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ রাহুলের ...

আরও পড়ুনঃ ট্রেনের পর স্যাটেলাইট ইমেজে কিমের নৌকা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতেই কি এই পরিকল্পনা ...

তবে একটি সূত্র বলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তাঁদের রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রশাসন। বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক জায়গায় গরিমা লিখেছেন তাঁদের কাছে যা অর্থ রয়েছে তাতে রেস্তোরাঁর কর্মীদের বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ও তাঁদের শুভাকাঙ্খিদের কাছে সাহায্যের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও স্পষ্ট নয় যে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। কারণ এখনও তেমন কোনও প্রমান হাতে আসেনি পুলিশের।