সংক্ষিপ্ত

 শনিবারও জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে এবং শুরু হয় এনকাউন্টার। সেনার হাতে শুরুতেই খতম হয় এক জঙ্গি। বারামুল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জঙ্গিকে খতম করেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহত জঙ্গির নাম ইরশাদ আহমেদ ভাট।

শনিবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। ২৪ ঘন্টায় ভারতীয় সেনার হাতে খতম দুই জঙ্গি। রবিবার গভীর রাতে বারামুল্লার বিনার এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়। এরপর সকালে খবর আসে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গির কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। কাশ্মীর জোনের পুলিশ জানায়, জঙ্গিদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ বিস্ফোরক ও নথিও পাওয়া গেছে।

এর আগে শনিবারও জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে এবং শুরু হয় এনকাউন্টার। সেনার হাতে শুরুতেই খতম হয় এক জঙ্গি। বারামুল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জঙ্গিকে খতম করেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহত জঙ্গির নাম ইরশাদ আহমেদ ভাট। তিনি বারামুল্লার বাসিন্দা এবং ২০২২ সালের মে মাস থেকে লস্কর-ই-তইবার সাথে যুক্ত। তার কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ২৭ জুলাই কুলগাম জেলায় জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।

২০ জুলাই, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জম্মু ও কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় অভিযান চালায়। চানপোরা অস্ত্র পুনরুদ্ধার মামলার বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) দল এই ভিযান চালায়। এই সময় দলটি শ্রীনগরের চারটি এবং পুলওয়ামা জেলার পাঁচটি জায়গায় অভিযান চালায়।

আসলে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের চানপোরা থানার এলাকায় মে মাসে অস্ত্রের মজুত ধরা পড়ে। উপত্যকায় জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাতে এসব অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে ভারতীয় সেনার অনুমান। চারজনকে আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি পিস্তল, ৩০টি ম্যাগাজিন, ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি এসইউভি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চানপোরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ১৮ জুন, এনআইএ এই মামলাকে নিজের হাতে নেয়। নতুন করে কেস দায়ের করা হয়। শুরু হয় তদন্ত। 

এদিকে, জানা গিয়েছে যে ফের ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে উস্কাচ্ছে চিন। সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য এমনই ইঙ্গিত করছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে চিন ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সরকারকে জানিয়েছে যে একটি চিনা উত্পাদনকারী সংস্থা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) তাদের অফিস তৈরি করেছে। এর সাথে, এটি মুজাফফরাবাদ এবং আথমুকাম সংলগ্ন অঞ্চলে যে কাজ চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করছে।