সংক্ষিপ্ত
২০২৩ সালের নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পরে দলের আশা এখন মাত্র ছয়টি রাজ্যের নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে।
ত্রিপুরায় বামপন্থীদের সাথে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করেও মাত্র ৩টি আসন দখল করতে পেরেছে কংগ্রেস। মেঘালয়ে হাত শিবিরের আসন সংখ্যা ঠেকেছে ৫টিতে। তিনটি রাজ্যে নির্বাচনে যাওয়া ১৮০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে মাত্র ৮টি আসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পিছিয়ে পড়া ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের আশাকে আরও ভেঙে দেবে। ২০২২ সালে কংগ্রেস সাতটি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করতে পেরেছিল।
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গুজরাটে পরাজিত হয়েছে সনিয়া ও রাহুল গান্ধির দল। একমাত্র মুখ রক্ষাকারী ছিল হিমাচল প্রদেশ, যেখানে কংগ্রেস বিজেপিকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে। উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভারতের এই প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটি বিজেপির দ্বারা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। উত্তর প্রদেশের ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২টি এবং গুজরাটের ১৮২টির মধ্যে মাত্র ১৭টি জিততে পেরেছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি ১১৭ জন সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৮টি আসনে কমিয়ে দিয়ে বিশাল জয় অর্জন করেছে।
২০২৩ সালের নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পরে দলের আশা এখন ছয়টি রাজ্যের উপর নির্ভর করছে, যেখানে এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হবে। ছয়টির মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও কর্ণাটক, এই চারটি রাজ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কংগ্রেস ও বিজেপি। এখন শুধুমাত্র এই চারটি রাজ্যই ভারতের সংসদে বিরোধী ম্যাট্রিক্সে কংগ্রেসের ভাগ্য এবং অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন-
নোটা-র থেকেও কম ভোট পেল তৃণমূল, ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে যাওয়ার দৌড়ে বিজেপি
গোমাংসে অভ্যস্ত এবং হিন্দুত্ব ও হিন্দির বাইরে থাকা ভারতের উত্তর-পূর্বাংশের রাজ্যগুলিতে কীভাবে এগিয়ে চলেছে বিজেপি?
পশ্চিমী দেশগুলির জন্য ভারতের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ, জি ২০ সম্মেলনে এসে পশ্চিমি দুনিয়ার সমালোচনা