সংক্ষিপ্ত

রক্তে মাখামাখি শিবলিঙ্গ

পাশে পড়ে যুবকের দেহ

নিজের নিজের গলা চিড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ

কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি

প্রতিদিনের মতো শুক্রবার-ও ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন বিহারি পরদেশী। কিন্তু মন্দিরে ঢুকেই আঁতকে উঠেছিলেন তিনি। শিবলিঙ্গ-কে যেন রক্ত দিয়ে স্নান করানো হয়েছে। আর পাশে পড়ে রয়েছে এক বছর ২৫-এর যুবকের নিথর দেহ। গলার নলি কাটা। পাশে পড়ে আছে একটা ধারালো ছুরি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পৈঠান শহরে।

জানা গিয়েছে, পৈঠান শহরের গগাভট্ট চকের সিদ্ধি আলি দরগার কাছে অবস্থিত একটি মন্দিরে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবকের নাম নন্দু ঘুঙ্গাসে। তিনি নিকটবর্তী কাহারওয়াড় গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় মৎসজীবী ওই যুবককে মন্দিরে ওইভাবে পড়ে থাকতে দেখে, বিহারী পরদেশী প্রথমেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে কাছের এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু, কী করে ঘটল এই ভয়াবহ ঘটনা? কেউ কি নন্দু ঘুঙ্গাসে-কে হত্যা করল? প্রথমে পুলিশ এই বিষয়ে কোনও তথ্যই পায়নি। পরে চারজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে মুখ খোলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের সামনেই ওই ঘটনা ঘটে। তাঁদের মতে ওই যুবক মন্দিরে ঢুকে নিজেই তাঁর গলার নলি কেটে ফেলেছিলেন। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। সেই রক্ত তিনি শিবলিঙ্গের উপর ফেলেন। তাঁদের সামনেই সেই ঘটনা ঘটলেও, তাঁর মৃত্যুর দোষ এসে ঘাড়ে চাপবে - এই আশঙ্কাতেই তাঁরা কেউই ওই মৎসজীবীকে থামানোর জন্য এগিয়ে যাননি বা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেছেন ওই চারজন। পুলিশ আপাতত তাদের বক্তব্য ক্রস-চেক করেছে।

কিন্তু, কেন এমন করলে ওই মৎসজীবী তরুণ? পুলিশের সন্দেহ সম্প্রতি নন্দু ঘুঙ্গাসে সম্ভবত কোনও আঘোরি সাধুর পাল্লায় পড়েছিল। তন্ত্র সাধনা শুরু করেছিল। তার পরিণতিতেই শিবলিঙ্গে নিজের রক্তের আহুতি দিতে চেয়েছে সে। কেউ তাকে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উসকেছিল কি না, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।