সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় সেনার তরফে ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকে যে স্পাইস ২০০০ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল তার থেকেও এই ব়্যাম্পেজ মিসাইল বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুর ওপর আছড়ে পড়তে পারে।

দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই পাকিস্তান ও চিনের বুক কাঁপিয়ে এবার ভারতীয় নৌসেনা ও বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ব়্যাম্পেজ লং রেঞ্জ সুপারসোনিক মিসাইল। উল্লেখ্য, শত্রুদেশগুলির চিন্তা বাড়িয়ে বিভিন্ন অত্যাধুনিক মিসাইল থেকে শুরু করে অস্ত্রশস্ত্র শক্তিবৃদ্ধি করছে সেনার।

ভারতীয় সেনার তরফে ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকে যে স্পাইস ২০০০ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল তার থেকেও এই ব়্যাম্পেজ মিসাইল বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুর ওপর আছড়ে পড়তে পারে। জানিয়ে রাখি যে “এয়ার টু সারফেস” বিষয়ক এই দুর্ধর্ষ মিসাইল ২৫০ কিমি দূরের নিশানাকে লক্ষ্যবস্তু করে তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই এই বিশেষ ব়্যাম্পেজ মিসাইলকে তাদের রাশিয়ার এয়ারক্রাফ্ট সুখোই ৩০ এমকেআইতে সংযুক্ত করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

এছাড়াও, ভারতীয় সেনার মিগ-২৯ ও জাগুয়ারের মতো যুদ্ধবিমানে এই মিসাইল সংযুক্ত রয়েছে। ভারতীয় নৌসেনাও তাদের যুদ্ধ সম্ভারের মধ্যে ব়্যাম্পেজ মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে যে, নৌসেনার “মিগ-২৯ কে” যুদ্ধবিমানে সংযুক্ত হয়েছে এই মিসাইল।

এদিকে, ইজরায়েলের বায়ুসেনা সম্প্রতি এই মিসাইল ব্যবহার করে দেখিয়েছে। ইরানের লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ব়্যাম্পেজ লং রেঞ্জ সুপারসোনিক মিসাইলকে ব্যবহার করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে, বর্তমানে ভারতীয় সেনার কাছে লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেমের ক্ষেত্রে দেশে তৈরি মিসাইলের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে তৈরি মিসাইলের সম্ভারও রয়েছে। সম্প্রতি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ক্রিস্টাল মেজ ২ মিসাইলের পরীক্ষা সম্পন্ন হয় হয়। তবে, এবার ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের বুকেই ব়্যাম্পেজ মিসাইল তৈরির পরিকল্পনা করছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।