সংক্ষিপ্ত
জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে, তারা গুলি চালায়, এর পালটা দেয় সেনাও। শুরু হয় এনকাউন্টার।
২০২২ সালের পঞ্চম দিনে (5th day of 2022) পঞ্চম এনকাউন্টার (5th Encounter) কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama)। মিলল দারুণ সাফল্য। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের করা টুইটে জানা গিয়েছে বুধবার দিনের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় এনকাউন্টার। যৌথবাহিনীর হাতে খতম হয়েছে তিন জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি (3 Jaish terrorists killed)। বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার চাঁদগাম গ্রামে এনকাউন্টার শুরু হয়।
এদিন আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার বলেছেন, পুলওয়ামার চান্দগামে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারে ৩ জইশ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিক। নাশকতা চালানোর একাধিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ২টি এম-৪ কার্বাইন এবং তাদের কাছ থেকে ১টি একে সিরিজের রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক আগে জানিয়েছিলেন, “গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর মেলায়, বুধবার মাঝরাতে একটি যৌথবাহিনীর টিম ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে, তারা গুলি চালায়। এর পালটা দেয় সেনাও। শুরু হয় এনকাউন্টার। সেনাসূত্রে খবর ছিল ৩-৪ জন জঙ্গি ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।
২০২২ সালের প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে এটি পঞ্চম এনকাউন্টার। কাশ্মীরে শেষ চারটি এনকাউন্টারে, নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ৫জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে। এরমধ্যে, ৪ জন লস্কর ও টিআরএফ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ পয়লা জানুয়ারি ২০২২-এ বলেছিল যে ৩০ ডিসেম্বর অনন্তনাগ এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন সম্ভবত সমীর দার হতে পারে। সমীর ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলায় জড়িত শেষ জীবিত জঙ্গি।
আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার বলেন যে অনন্তনাগে নিহত জঙ্গিদের একজনের ছবি জইশ-ই-মহাম্মদের (জেএম) শীর্ষ কমান্ডার সমীর দারের সাথে মিলেছে। ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ কর্মী শহিদ হন। এদিকে, ২০২১ সালের নভেম্বরে পাওয়া এক পরিসংখ্যান বলছে গত বছর ১৩৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খতিয়ান যে নিঃসন্দেহে সাফল্যের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।