সংক্ষিপ্ত

ওই মসজিদটি ১১ শতকের পুরোনো। স্থানীয় মুসলিমরা তাকে কামাল মৌলার মসজিদ বলেই জানেন। এদিকে তাকে দেবী সরস্বতীর মন্দির তথা ভোজশালা বলেও দাবি করে থাকেন হিন্দুদের একাংশ।

অভিযোগ নতুন নয়। বারবার মন্দির মসজিদ দ্বন্দ্বে নিশানা বিদ্ধ হয়েছে দেশ। বাবরি থেকে জ্ঞানবাপী, তাজমহল থেকে আরও কত..তালিকা ছোট নয়। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল মধ্যপ্রদেশের এই বিশাল মসজিদের। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এই কামাল মৌলা মসজিদ নিয়েও উঠেছিল তেমনই দাবি। জানা গিয়েছে, ওই মসজিদটি ১১ শতকের পুরোনো। স্থানীয় মুসলিমরা তাকে কামাল মৌলার মসজিদ বলেই জানেন।

এর আগে ২০০৩ সালে পুরাতত্ত্ব বিভাগই গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল যে, এখানে প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুরা এবং প্রতি শুক্রবার মুসলিমরা পুজোআচ্চা বা উপাসনা করতে পারবেন। এই পরিস্থিতিকে সমন্বয়ের এক উদাহরণ হিসেবেও দেখা যেতে পারত হয়তো। কিন্তু তা আর হল কই!

জানা গিয়েছে, ওই মসজিদটি ১১ শতকের পুরোনো। স্থানীয় মুসলিমরা তাকে কামাল মৌলার মসজিদ বলেই জানেন। এদিকে তাকে দেবী সরস্বতীর মন্দির তথা ভোজশালা বলেও দাবি করে থাকেন হিন্দুদের একাংশ। তার জেরেই এখানে ৯৮ দিনের এএসআই সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। আর সেই সমীক্ষাতেই মিলল দেবদেবীর মূর্তি ও ধ্বংসাবশেষ। যদিও মূর্তিগুলি এখানে কীভাবে এল, তার নেপথ্যে কোনও অশান্তির ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান মসজিদ পক্ষ।

মধ্যপ্রদেশের এই মসজিদ থেকে হদিশ মিলল ৩৯টি দেবমূর্তির। সবগুলিই কমবেশি ভাঙা। মূর্তিগুলির মধ্যে রয়েছে গণেশ, সরস্বতী, কৃষ্ণ, মহাদেব, হনুমান, মহিষাসুরমর্দিনী ইত্যাদি। তার সঙ্গেই ১৭১০টি আরও নানারকমের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, যার সবই হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। মসজিদে সমীক্ষা চালিয়ে এইসব ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।