সংক্ষিপ্ত

 বরযাত্রীর ছদ্মবেশে হানা দেয় আয়কর কর্তারা। আর হানা দিয়ে বেহিসেবী প্রায় ৩৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। যার মধ্যে রয়েছে ৫৬ কোটি নগদ টাকা, ৩২ কেজি সোনা, ১৪ কোটি মূল্যের হীরা ও বেশ কিছু সম্পত্তির দলিল ।

সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাল আয়কর বিভাগের কর্তারা। কাকপক্ষীতেও টের পেল না বিশাল আয়কর হানার খবর। আর সেই জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই তলে তলে প্রস্তুতি নিয়েছিল আয়কর আধিকারিকরা। বরযাত্রীর ছদ্মবেশে হানা দেয় আয়কর কর্তারা। আর হানা দিয়ে বেহিসেবী প্রায় ৩৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। যার মধ্যে রয়েছে ৫৬ কোটি নগদ টাকা, ৩২ কেজি সোনা, ১৪ কোটি মূল্যের হীরা ও বেশ কিছু সম্পত্তির দলিল । এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। 

আয়কর বিভাগ ৩ অগাস্টের হানার জন্য আগে থেকেই ১২০টি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছিল। তবে গাড়িগুলি এক জায়গা থেকে ছাড়েনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আলাদা আলাদাভাবে গাড়িগুলি ছেড়েছিল। আলাদা আলাদাভাবে আয়কর কর্তারা সওয়ার ছিলেন সেই গাড়িতে। তাঁদের পরনে ছিল ধোপ দস্তুর বরযাত্রীর পোশাক। গাড়িগুলির প্রত্যেকটিতে 'দুলহন হ্যাম লে যায়েঙ্গে' নামের পোস্টার লাগান ছিল। গোটা বিষয়টি বিয়ের অনুষ্ঠানের মত করে সাজানো হয়েছিল। যাতে বাইরে থেকে তাদের দেখলে কোনও ভাবেই না বোঝা যায় তারা আয়কর ভবনের লোক- আয়কর কর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরাও বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার মত করেই সেজেছিল। পুলিশ ও আয়কর কর্তা মিলিয়ে মোট সংখ্যা ছিল ২৫০। প্রত্যেকেই যথেষ্ট সাবধানে ছিল। 

মহারাষ্ট্রের আয়কর অফিসারদের টার্গেট ছিল ইস্পাত, পোশাক আর রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত দুটি ব্যবসায়ী গ্রুপের কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামা দেওয়া। গ্রুপের প্রধানদের বাড়ির পাশাপাসু গুদাম ও ফার্মহাউসে একসঙ্গে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেইমতই প্রচুর লোকজন নিয়েই হানা দেওয়ার কাজ শুরু করে আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। 

আয়কর দফতর সূত্রের খবর আগে থেকেই তারা প্রচুর টাকা ও গয়না বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা করে রেখেছিল। সূত্রের খবর উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা গুণতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৩ ঘণ্টা।

আয়কর কর্তারা আরও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। যা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগও উঠেছিল। দীর্ঘ দিন ধরেও সংস্থাগুলিকে ট্র্যাক করা হয়েছিল । আঁটঘাঁট বেঁধেই আয়কর কর্তারা রেড করেছেন বলেও সূত্রের খবর। ২৫০ জন সদস্য পাঁচটি ভাগে ভাগ হয়ে হানা দিয়েছিল। 

আরও পডডুন) 

পার্থ-অর্পিতাকেও ছাড়িয়ে গেল কানপুরের ব্যবসায়ী, রাশি রাশি বাজেয়াপ্ত টাকা নিয়ে যেতে লাগল কন্টেনার

অনুব্রতর গ্রেফতারিতে সরাসরি মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর, 'তৃণমূলের সবাই চোর' বললেন সুকান্ত

সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় ইডি 'না', কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের তিন মন্ত্রী