সংক্ষিপ্ত
- করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির কে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকা
- একই পথে হেঁটে জাপানেও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে ওষুধটি
- এবার ভারতেও শুরু হচ্ছে রেমডেসিভির উৎপাদন
- ইতিমধ্যে দেশের ৪টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে গিলিড সায়েন্স
গত এপ্রিলের শেষেই আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় জরুরী প্রয়োজনে রেমডেসিভির ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিমিনিস্ট্রেশন বা এফডিও। আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের উপর ওষুধটি পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। ওষুধটির প্রস্তুতকার সংস্থা গিলিড সায়েন্সের দাবি, ওষুধটি করোনা আক্রান্তেরর শরীরে অন্যান্য ওষুধের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি কার্যকর। জাপানও করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এই অবস্থায় ভারতের চারটি সংস্থা রেমসেডিভির উৎপাদনের কাজ শুরু করল এদেশে।
আমেরিকা ও জাপানের পর ভারতেও রেমডেসিভিরের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আইসিএমআর ও সিএসআইআর-এর গবেষকরা এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করেছেন। এর মধ্যেই রেমডেসিভিরের উৎপাদক সংস্থা গিলিড সায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল জুবিল্যান্ট লাইফ সাইন্স, সিপলা, হেটেরো ল্যাবস লিমিটেড এবং মাইল্যান এনভি। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত সহ বিশ্বের ১২৭টি দেশে রেমডেসিভির পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে এই ৪টি সংস্থা।
জীবনভর বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারবেন কর্মীরা, করোনা বিশ্বে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ট্যুইটারের
বাড়ি ফেরার পথে জন্ম হল নবজাতকের, সন্তানকে কোলে নিয়েই ১৫০ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন পরিযায়ী মা
দেশে কপর্দক শূন্য হতে চলেছে এক তৃতীয়াংশ পরিবার, চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর আগেই আশঙ্কার মেঘ
জানা যাচ্ছে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানের জেনেরিক ওষুধপ্রস্তুতকারী একটি সংস্থা ফিরোজসনস ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের সঙ্গে ওষুধ তৈরি নিয়ে চুক্তি হয়েছে গিলিড সায়েন্সের।
ওষুধ পাঠান হেব যেসব দেশে তারমধ্যে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলি যেমন রয়েছে পাশাপাশি মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশগুলিও রয়েছে সেই তালিকায়। ভারত ছাড়াও আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা রেমডেসিভির দিয়ে করোনা চিকিৎসার ট্রায়াল ইতিমধ্যে শুরু করেছে।
এদিকে উৎপাদন নিয়ে গিলিড সায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হলেও এখন ভারতে রেমডেসিভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর চোখ রাখছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। পাশাপাশি কী ভাবে সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া যায় তাও দেখা হচ্ছে। খুব শিগগির ভারতের বাজারে এই ওষুধের দেখা মিলবে বলে আশাবাদী ৪টি সংস্থা। শুধু তাই নয়, খরচ বাঁচাতে এই ওষুধের এপিআই বা অ্যাকটিভ ফারমাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস দেশেই বানানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।