সংক্ষিপ্ত

মুম্বই ব্য়াঙ্ক প্রতারণার কবলে ৪০ গ্রাহক। লিঙ্ক ক্লিক করতেই গায়েব লক্ষ লক্ষ টাকা।

 

এখন থেকেই সাবধান হয়ে যায়। মুম্বইয়ের একটি বেসরকার ব্যাঙ্কের প্রায় ৪০ জন গ্রহক মাত্র তিন দিনে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বই পুলিশ বলেছে, একটি জাল লিঙ্ক পাঠাচ্ছে প্রতারকরা। সেই লিঙ্কে ক্লিক করার মাত্র তিন দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মুম্বই পুলিশ গ্রাহকদের বলেছে, এজাতীয় লিঙ্কে কখনই ক'KYC' যেন না দেয়। দিলেই ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

পাশাপাশি মুম্বই পুলিশ অপরিচিত নম্বর থেকে যদি কোনও লিঙ্ক আসে তাহলে সেগুলি ক্লিক না করারও পরামর্শ দগিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের তাদের গোপনীয় বিবরণ দিতেও নিষেধ করেছে। মুম্বই KYCর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতেও নিষেধ করে দিয়েছে।

পুলিশের দাবি, প্রতারকরা গ্রহকদের ফিশিং লিঙ্ক সহ একধরনের জাল এসএমএস পাঠাচ্ছে। যাখানে তাদের KYC ও প্যান কার্ডের বিষদ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই লিঙ্কে বলা হয়েছে বিষদ বিবরণ না দিয়ে অবিলম্বে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর তা নতুন করে চালু করতে গ্রাহকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অ্যাকাউন্ট ব্লক করার কথা শুনে অনেকেই লিঙ্কগুলি ক্লিক করে। মুম্বই পুলিশ সূত্রের খবর লিঙ্কগুলি গ্রাহকদের তাদের ব্যাঙ্কের জাল ওয়েবসাইট দেখাচ্ছে। সেখানে গ্রাহকদের আইডি পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য গোপনীয় বিবরণ লিখতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই লিঙ্কে ক্লিক করে অনেক গ্রাহকই লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে অভিনেত্রী শ্বেতা মেমনও। শ্বেতা মেমন বলেছেন, বৃহস্পতিবার তিনি ভুয়ো একটি টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পেয়েছিলেন। তবে টেক্সট মেসেজটি এমনভাবে পাঠান হয়েছিল যেটি দেখে তাঁর মনে হয়েছিল এটি তিনি তাঁর ব্যাঙ্ক থেকেই পেয়েছেন। তারপরই তিনি পোর্টালটি খেলান। সেখানে গ্রাহক আইডি, পাশওয়ার্ড দেন। তারপরই ওটিপি শেয়ার করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এক মহিলার কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলেন, মহিলা নিজেকে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা বলেও দাবি করেছিল। মহিলা তার তাঁকে বলেছিল তার মোবাইলে আরও একটি ওটিপি যাবে। সেটি তার সঙ্গে শেয়ার করতে বলেছিলেন। শ্বেতা তাই করেছিলেন। তারপরই তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে যায় গচ্ছিত ৫৭ হাজার ৬৩৬টাকা। এই ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় শ্বেতা।

তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তখনই পুলিশ জানতে পারে, প্রতারকচক্রে শ্বেতা একাই পড়েননি। তার সঙ্গে আরও ৪০ জনের সঙ্গে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতাকরদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।