সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছে,পাকিস্তানের যেসব জঙ্গিরা অনুপ্রেবেশ করেছে, তারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত। তাদের সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র
৪০-৫০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জম্মুর পার্বত্য এলাকাগুলিতে ঘাঁটি তৈরি করেছে। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে, দেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্ট। দেশের নিরাপত্তা বাহিনী যাতে জঙ্গিদের পাকড়াও করতে পারে তার জন্য সবরকম তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছে,পাকিস্তানের যেসব জঙ্গিরা অনুপ্রেবেশ করেছে, তারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত। তাদের সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। আমেরিকার তৈরি এম৪ কার্বাইন রাইফেল রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে গোপন রিপোর্ট। আমেরিকার তৈরি এম৪ কার্বাইন রাইফেলে নাইট ভিশন ডিভাইস লাগান রয়েছে। এই জঙ্গিদের কাছে রয়েছে চিনা স্টিল - কোটেড বুলেট। এই বিশেষ বুলেট বুলেট প্রুফ ভেদ করতে সক্ষম। রিপোর্ট অনুযায়ী জম্মু বিভাগে সক্রিয় পাকিস্তানের জঙ্গিরা। তারা লুকিয়ে রয়েছে পাহাড় ও জঙ্গলে। জঙ্গিরা পাহাড়ে গোপন আস্তানা তৈরি করে ছোট ছোট দল তৈরি করে কাজ করছে।
পাল্টা সেনা বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের ট্র্যাক করতে ও খুঁজে বার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সাম্বাতে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর একটি সুড়ঙ্গ পেয়েছে। কয়েক দিন আগেই নিরাপত্তা বাহিনী জম্মুর রাজৌরি জেলার একটি গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের লড়াই হয়েছিল। সেখানে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এক জওয়ান এ সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে। সেনা বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসবাদীরা ৩.১০ মিনিটে রাজৌরির গুন্ডায়ে একটি বাড়িতে আক্রমণ করে। কর্মকর্তাদের মতে সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করার পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা পাল্টা জবাব দেয়। ভোর রাতে ৪টের সময় সেখানে সেনা বাহিনী পাল্টা হামলা চালায়। গুলি বিনিময় হয়।
এই বছর এখনও পর্যন্ত জম্মুর বিভিন্ন এলাকার ৬টি জেলায় ১৪টি জঙ্গি হামলা হয়েছে। ১১ জন নিরাপত্তাকর্মী এক জন গ্রাম প্রতিরক্ষা রক্ষী ও পাঁচ জন জঙ্গি -সহ নিহত হয়েছে ২৭ জন। আগেই একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ বা এসএসজি-র প্রাক্তন অফিসাররাই জঙ্গিদের মদত আর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তাদের প্রশিক্ষণেই কাশ্মীরের জঙ্গিরা দূরপাল্লার এম৪ কার্বাইনের মত অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।