সংক্ষিপ্ত


ফেব্রুয়ারিতে বাবা আর জুন মাসে মাকে কেড়ে নিয়েছে করোনা। তারপর থেকে একপ্রকার না খেয়েই দিন কাটছে পাঁচ শিশুর। 
 

করোনা-মাহামারি কেড়ে নিয়েছে মা ও বাবাকে। কোভিড ১৯ অনাথ করে দিয়েছে। তারপর থেকেই অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এই 'পঞ্চ পাণ্ডব'এর। মধ্যপ্রদেশের বাল্মিকী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ভিন্ড জেলার আমাহা গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোনও রকমে দিন কাচ্ছে। কিন্তু এই ভাবে আর কতদিন - তার কোনও উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না বড় ভাই। আর যে সবথেকে ছোট - তারতো কিছু বোঝারও বয়স হয়নি। 

পাঁচটি সন্তানের মধ্যে তিন বোন আর দুই ভাই। বড়র বয়স ১০ বছর। আর সবথেকে ছোট অনাথ শিশুটির বয়স সাত মাস। তাদের মাথার ওপর ছাদ নেই। গ্রামের শ্মশনের একটি কুঠরি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে পাঁচ ভাই-বোনকেই ভিজতে হয়। পাঁচ অনাথ সন্তানে বাবা রাঘবেন্দ্র বাল্মিকী, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত গয় চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছেন। আর মা গিরিজাকেও কোভিড ১৯ সন্তানদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে জুন মাসে। তারপর তেকেই পাঁচটি শিশু অনাথ বেসাহারা। 

ISIS-তালিবান যোগ, কাবুলের বিস্ফেরণ নিয়ে পাকিস্তানকে নিশানা আমরুল্লাহর

নিশা সবথেকে বড় অনাথ শিশুটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মা-বাবা দুজনেই মারা গেছেন। তারপর থেকে তাঁদের আর কেউ নেই। প্রতিদিন খাবার জোটে না। গ্রামবাসীরা যদি কিছু খাবার দেন তাহলে খাওয়া হয়। না হলে খালি পেটেই ঘুমাতে হয়। তাদের কোনও বাড় নেই বলেও জানিয়েছে। সরকারের কাছে খাওয়া আর আশ্রয়ের আর্জি জাবিয়েছে তারা।নিশার আরও একটি দাদ রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। কিন্তু সে নিশাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। অসহায় পাঁচ ভাইবোনকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। ছোট্ট নিশাই ছোট্ট পাঁচ ভাইবোনের দায়িত্ব নিয়েছে। 

Horrific Video: পাগলপারা নদীর জলে ভেঙে গেল পাকা ব্রিজ, প্রাণ হাতে ছুটছেন চালক

করোনাকালে মধ্য প্রদেশ সরকার শিশুদের বাসসেবা প্রকবল্প চালু করেছে। কিন্তু নিশাদের কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় তারা সেই সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে জেলা প্রশাসন গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে। কিন্তু কবে তাদের নিরাপদ আশ্রয় জুটবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্থানীয়দের। 

COVID 19: করোনা যুদ্ধে নতুন মোড়, টিকার দৌড়ে পা রাখল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স

করোনাকালে অনেক শিশু আনাথ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, পয়লা এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ৬৪৫ জন শিশু অনাথ হয়েছে। জুনে সিপিসিআরএর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে প্রায় ৩ হাজার ৬২১ জন শিশু অনাথ হয়েছে। ২৬ হাজারেও বেশি শিশু কোনও একজন অভিভাবককে হারিয়েছে। 

YouTube video player