সংক্ষিপ্ত
- জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সেরা উপহার
- তিনি ব্যাঙ্গালোরের বছর ৭৯-র এক দরিদ্র বৃদ্ধ
- শেষ অবধি বাজিমাত ঔষুধি গাছ বিক্রেতার
- বলেন,'আয় করতে চাই নিজের পায়ে দাড়িয়েই '
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সেরা উপহার। জীবন বদলে দেওয়া ছবি। তিনি আর কেউ ব্যাঙ্গালোরের বছর ৭৯-র এক দরিদ্র বৃদ্ধ। যিনি রুজি-রুটি চালান ঔষুধি-ভেষজ গাছ বেঁচে। যে গাছে উপকার পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু পেয়ে আর হয়তো দ্বিতীয় ব্য়ক্তিকে বলা হয়নি। তাই অনেক কষ্টে জীবন চালাতে হয়েছে রিভান্না সিড্ডাপ্পার। তবে এবার বোধ হয় স্বয়ং ভগবান, মানুষের রূপে ওই বৃদ্ধের ঔষুধি গাছের ছবি তুলে সোশ্যালে ছড়িয়ে দিলেন।
বয়েসটা যেন একলহমায় ঘুড়ির সুতোর মতো গেছে কমে
রাতারাতি বৃদ্ধের বিক্রি গেল বেড়ে। কেউ তাঁকে দিলেন টেবিল-চেয়ার, কেউবা দিলেন ছাতা। ৭৯ বছরে শেষ অবধি বাজিমাত ঔষুধি গাছ বিক্রেতার। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করতেই তরঙ্গ খেলে গেল যেন মুখে। টান ধরে যাওয়া চামড়াও যেনও সোনার মতো জ্বলে উঠল। চোখে উজ্জ্বল দ্য়ুতি নিয়ে রিভান্না সিড্ডাপ্পা জানালেন, 'আমার বয়েস ৭৯ বছর। কণকপুরের রাস্তার পাশেই আমি এই ঔষুধি গাছ বিক্রি করি। হঠাৎ একদিন আমায় খেয়াল করে কেউ। এবং সে আমার ছবি তুলে ছড়িয়ে দেয় সব জায়াগায়।' বৃদ্ধের চোখের কোনাটা ভিজতে চেয়েও পারছে না। বহু বছরের কষ্টে কাঁদতেও হয়তো সময় পায়নি সে। তবু সে আনন্দ অনুভব করতে পারছে। বয়েসটা যেন একলহমায় ঘুড়ির সুতোর মতো গেছে কমে।
আরও পড়ুন, ২ স্ত্রীর সঙ্গে লাইভ স্ট্রীমিং চলাকালীন সঙ্গম, পুলিশের জালে গুণধর যুবক
'রাতারাতি আমার বিক্রি দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে'
তিনি জানান, 'ছবি তোলার পর থেকেই রাতারাতি আমার বিক্রি দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে। সবাই যত্ন করে টেবিল-চেয়ার, ছাতা দিয়েছে। সিড্ডাপ্পা আরও জানান, 'আমার গাছগুলি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। গত ৩ বছর ধরে এই ঔষুধি চারা গাছ বিক্রি করছে। তবে আমি কারও থেকেই ঋণ নেইনি। আমি আয় করতে চাই নিজের পায়ে দাড়িয়েই।'