জোধপুরের একটি স্কুলে ৮ বছরের এক শিশুকে অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত পেটানো হয়েছে, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে এবং টয়লেটের পানি পান করতে বাধ্য করা হয়েছে। 

জোধপুর। রাজস্থানের জোধপুর জেলার ওসিয়া শহরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ৮ বছরের এক ছাত্রের সাথে অমানবিক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ অনুসারে, ছাত্রটিকে স্কুলের ঘরে আটকে রেখে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে এবং যখন সে অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন তাকে নোংরা পানি, যা টয়লেটের পানি বলে জানা গেছে, পান করতে বাধ্য করা হয়েছে।

 বাবা জোধপুর পুলিশকে শোনালেন ছেলের করুণ কাহিনী

পীড়িত ছাত্রের বাবা আশুরাম পুলিশকে দেওয়া অভিযোগে জানিয়েছেন যে তার ছেলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। ১২ ফেব্রুয়ারি যখন সে স্কুল থেকে ফিরে আসে, তখন অসুস্থ এবং ভীত ছিল। যখন পরিবারের সদস্যরা তাকে মনোযোগ দিয়ে দেখেন, তখন তার শরীরে গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পিঠ, মুখ এবং নাক থেকে রক্ত ​​ঝরছিল, যা থেকে স্পষ্ট ছিল যে তার সাথে গুরুতর মারধর করা হয়েছে।

ছাত্রকে স্কুলের ঘরে আটকে রেখে চালানো হয়েছে অত্যাচার

যখন বাবা ছেলেকে আঘাতের কারণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন সে ভয়ে ভয়ে বলে যে তাকে স্কুলের ঘরে আটকে রেখে পেটা, লাঠি এবং চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যখন সে অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন তাকে জোর করে নোংরা পানি, যা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল, পান করতে বাধ্য করা হয়েছে। ছেলেটি অভিযোগ করেছে যে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে হুমকি দিয়েছে যে সে যদি কাউকে বলে, তাহলে তাকে জীবননাশ করা হবে।

স্কুল ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার হুমকি দিয়েছে

প্রধান শিক্ষকের হুমকি, পুলিশে অভিযোগ দায়ের। যখন পরিবারের সদস্যরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে এই ঘটনা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন, তখন প্রথমে ফোন ধরা হয়নি। পরে যখন যোগাযোগ হয়, তখন তাদের এ কথা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় যে "যদি মারধর হয়ে থাকে তাহলে কি হয়েছে?" এরপর, স্কুল প্রধানশিক্ষকের পক্ষ থেকে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে তারা যদি কোনও আইনি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তাদের ছেলের টিসি আটকে দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হবে।

রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারের কাছে পৌঁছেছে ঘটনা

পরিবারের সদস্যরা এই গুরুতর ঘটনার তথ্য ওসিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছেন, যার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়াও, ছাত্রের বাবা শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারকে চিঠি লিখে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।